রাত বাড়লেই সাধারণ মানুষের কাছে আতঙ্কের কারণ হয়ে উঠছে বারুইপুর বাইপাস এলাকা৷ একটু রাত হয়ে গেলেই বাইপাস দিয়ে যাতায়াত করতে ভয় পাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। নিত্যযাত্রীদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ বারুইপুর বাইপাস৷ একদিকে যেমন এই রাস্তা ধরে কলকাতার দিকে আসা যায়, তেমনই অসংখ্য মানুষ প্রতিদিন এই রাস্তা ধরেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর, জয়নগর, ক্যানিং এলাকায় যাতায়াত করেন। কিন্তু সন্ধে নামলেই বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে অন্ধকার নামে৷
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বারুইপার বাইপাসের এই বেহাল অবস্থার কথা প্রশাসনকে জানানো হলেও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। প্রশাসনের নাকের ডগায় সবটা হলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। সেই কারণে স্থানীয় বাসিন্দারা প্রশাসনের উপর ব্যাপক ক্ষুব্ধ।
এলাকার টোটোচালক মোহন নস্কর বলেন, ‘এই রাস্তার কারণে আমাদের বেশ সমস্যার মধ্যে পড়তে হয় ৷ এই কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। রাতের অন্ধকারে এই রাস্তা দিয়ে যেতে আমাদের বেশ সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়৷ যথেষ্ট আতঙ্কের মধ্যেই আমাদের এই রাস্তা পারাপার করতে হয়। প্রশাসন সবটা জানলেও এখনও অবধি কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি’
স্থানীয় বিধায়ক তথা পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দোপাধ্যায় বলেন, ‘এই সমস্যা রাজ্যের গ্রামাঞ্চল জুড়েই। আমি নিজে মুখ্যমন্ত্রীকে এই বিষয়টির কথা জানিয়েছি। আর্থিক সমস্যার কারণে সমাধান করা সম্ভব হয়নি। বিষয়টি আমি ফের মুখ্যমন্ত্রীকে জানাব, যাতে দ্রুত সমস্যার সমাধান করা হয়। এবার উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেই আমার বিশ্বাস।’
অন্যদিকে বারুইপুর বাইপাসের এই অংশটি হরিহরপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মধ্যে পড়েন। স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান কমল মিত্র বলেন, ‘পঞ্চায়েতের পক্ষে এই বিল মেটানো সম্ভব নয়। তাছাড়া এই হাইমাস্ট লাইট দেখভাল করার পরিকাঠামোও আমাদের নেই। বিভিন্ন মহলে এই পরিস্থিতির কথা জানানো হয়েছে।’ এই অবস্থায় কবে অন্ধকার ঘুছবে সেই দিকেই তাকিয়ে বারুইপুর সংলগ্ন বিস্তীর্ণ অঞ্চলের বহু বাসিন্দা ৷