রাজ্যে ডেঙ্গির প্রকোপ নিয়ে চিন্তায় স্বাস্থ্য দফতর। এর মধ্যেই এক চিকিৎসকের মৃত্যু হলেন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে। নিহত চিকিৎসকের নাম দেবদ্যুতি চট্টোপাধ্যায়। মিন্টো পার্কের এক বেসরকারি হাসপাতালে তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

Dengue In Kolkata : বিধাননগরে ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত, উদাসীন অভিজাত নাগরিকরা
কী জানা যাচ্ছে?

দেবদ্যুতি চট্টোপাধ্যায় ছিলেন ইন্সটিটিউট অফ অফথারমোলজিস্ট চক্ষু বিশেষজ্ঞ। তিনি গড়ফার বাসিন্দা ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। চারদিন আগে তিনি জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মিন্টো পার্কের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। গত চারদিন ধরে তাঁর চিকিৎসা চলছিল। তবে তাঁর কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। যে কারণে তাঁর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কিছুটা কমে গিয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে। শুক্রবার সকলে তিনি নিহত হন বলে জানা গিয়েছে।

Dengue Cases : মৃত্যুতেও ফিরছে না হুঁশ, মশার খোঁজে অভিযান পুলিশকে নিয়ে
পরিবার সূত্রে কী খবর?

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতার ওই হাসপাতালে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে চিকিৎসা চলছিল দেবদ্যুতি চট্টোপাধ্যায়ের। শুক্রবার ভোরে হাসপাতালেই তাঁর মৃত্যু হয়। হাসপাতাল থেকে জানানো হয়েছে, মৃত্যুর কারণ হিসেবে ডেঙ্গির হেমারেজিক শক সিনড্রোম দেখানো হয়েছে। হেমারেজিক শক সিনড্রোমের কথা ডেথ সার্টিফিকেটে উল্লেখ রয়েছে। এরপর তাঁর মাল্টি অর্গান ফেলিওয়র হয় বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। তবে জানা গিয়েছে, মৃত্যুর আগে চক্ষু দান করে গিয়েছেন ওই যুবক।

Dengue Death : ডেঙ্গির বলি কিশোরী, প্রাণ গেল পুলিশেরও
ডেঙ্গিতে একের পর এক মৃত্যু

সম্প্রতি, ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও জেলায় জেলায় ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর খবর লেগেই রয়েছে। গত বুধবার বাংলা অভিনেতা সাহেব চট্টোপাধ্যায়ের বোন পিয়াসি চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যু হয়। উত্তরপ্রদেশ থেকে কলকাতায় এসে তিনি ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে।

রক্তচোখ ডেঙ্গির! বাঁকুড়ায় কি পরিস্থিতি হাতের বাইরে?

ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত

স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বছরের শুরু থেকে গত রবিবার পর্যন্ত শহরে ১৬০০ জনের ডেঙ্গির রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। এর মধ্যে বেশিরভাগ মানুষ যাদবপুর, নিউ আলিপুর, তপসিয়া, কসবা, বেহালা, তিলজলা, টালিগঞ্জ, গড়িয়া, বাঁশদ্রোণী, কসবা, মুকুন্দপুর এবং খিদিরপুর এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। চলতি মাস থেকেই কলকাতার এই এলাকা থেকে সংক্রমণের হার দ্বিগুণ হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ডেঙ্গি রোধে কলকাতা পুরসভা থেকে একাধিক বিভিন্ন সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তারপরেও ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা কপালে চিন্তার ভাঁজ বাড়াচ্ছে স্বাস্থ্য দফতরের।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version