এই সময়: ময়না-তদন্তের আগেই মর্গ থেকে দেহ নিয়ে ইএনটি বিভাগ একটি কর্মশালা আয়োজন হয়েছিল আরজি করে। অভিযোগ উঠেছিল, পুলিশের অনুমতি ছাড়া অধ্যক্ষের নির্দেশে এমনটা হয়েছিল। জানুয়ারির সেই ঘটনায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের কারণে অভিযুক্ত তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং ইএনটি বিভাগের শিক্ষক-চিকিৎসক দেবব্রত দাস এবং ফরেন্সিক মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক সৌম্যব্রত পাঁজাকে তলব করেছিল রাজ্য মানবাধিকার কমিশন। বৃহস্পতিবার পূর্ত ভবনে কমিশনের কার্যালয়ে তাঁদের হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এ দিন অভিযুক্তরা কেউই আসেননি। সকলেই মাসখানেক সময় চেয়েছেন।

Siliguri News: মাদক চক্রের যোগসূত্র! যুবককে মেরে ভেন্টিলেটর থেকে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ
গত ৫ জানুয়ারি আরজি করের ইএনটি বিভাগে ‘এন্ডোস্কোপিক সাইনাস সার্জারি’ নিয়ে একটি কর্মশালা ছিল। তাতে শবের প্রয়োজন ছিল চিকিৎসক ও পড়ুয়াদের ওই অস্ত্রোপচার হাতেকলমে শেখানোর জন্য। অভিযোগ, তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপবাবুর নির্দেশে ফরেন্সিক মেডিসিন বিভাগ থেকে এমন পাঁচটি দেহ সেই কর্মশালায় নিয়ে যাওয়া হয়, যেগুলির তখনও ময়না-তদন্তই হয়নি।

RG Kar Medical College : আর এক দফা জলঘোলাই সার, সরলেন সেই অধ্যক্ষ
অথচ এ ব্যাপারে দেহগুলির নিকটাত্মীয় বা পুলিশ, কারও অনুমতিই নেওয়া হয়নি। যে পাঁচটি দেহ নিয়ে বিতর্ক, তার একটি ছিল বাইক দুর্ঘটনায় নিহত হুগলির পুরশুড়ার প্রশান্তকুমার দাসের (৪৬)। তাঁর আত্মীয় অভিজিৎ কর্মকার প্রশ্ন তোলেন, কেন তাঁদের অনুমতি ছাড়া ময়না-তদন্তের আগেই দেহে কাটাছেঁড়া হলো? এই অভিযোগ জানিয়ে তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লেখেন ই-মেল এবং পোস্ট মারফত। ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসায় আলোড়ন পড়ে সর্বত্র।

Supreme Court Lawyer Murder : সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খুনের কিনারা, ৩৬ ঘণ্টা গুদামে লুকিয়েও শেষরক্ষা হল না স্বামীর
পরে পাঁচটির মধ্যে চারটি ময়না-তদন্তের রিপোর্টেও আঘাতের জায়গায় সাইনাস সার্জারির চিহ্নের কথা উল্লেখ করা হয়। প্রত্যেকটি দেহেই নাকের উপরের দিকে মোটা ছুঁচ ফোটানোর মতো প্রায় ০.১ ইঞ্চির একটি চিহ্ন ছিল। ওই সবক’টি ক্ষতচিহ্ন থেকেই হলুদ রঙের তরল বেরিয়ে আসার দাগও স্পষ্ট। ময়না-তদন্তের রিপোর্টে এ-ও উল্লেখ করা হয় যে, ওই ক্ষতগুলি মৃত্যুর আগের বা অ্যান্টিমর্টমে নয়, বরং মৃত্যুর পর বা পোস্টমর্টেম। কেননা সেই ক্ষত সৃষ্টির প্রতিক্রিয়ায় শরীরে কোনও স্নায়বিক পরিবর্তনের চিহ্ন দেখা যায়নি। এবং রক্তের বদলে সিরাম বেরিয়ে আসার কারণেই দাগের রং হলুদ।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version