এই সময়, মেদিনীপুর: মেট্রোসিটিগুলির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হ্যাপেনিং হচ্ছে মেদিনীপুর শহরও। একাধিক ঝাঁ-চকচকে শপিং মল, শোরুম খুলেছে গত কয়েক বছরে। তবে বেশির ভাগ মার্কেট কমপ্লেক্সেই নেই পার্কিং জোন। ফলে রাস্তার উপরেই ভিড় বাড়াচ্ছে গাড়ি। যানজট-যন্ত্রণা তাই নিত্যদিনের সমস্যা। পথচলাই দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে শহরে।

এই সমস্যাটি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছেন মেদিনীপুর পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলার নির্মাল্য চক্রবর্তী। নেটিজেনরা সমর্থন করছেন তাঁকে। তবে শাসকদলের নেতার এমন পোস্টে প্রশ্নের মুখে পুরপ্রশাসন! ফেসবুকে নির্মাল্য লিখেছেন, ‘মার্কেট কমপ্লেক্সগুলো মেদিনীপুর শহরে ওপেন হচ্ছে বা হয়েছে, বেশ ভালো। কিন্তু পার্কিং ছাড়াই! এতে তো সেই রাস্তার উপরে চারচাকা বা দু-চাকা বা টোটো দাঁড়িয়ে থাকবে আর রাস্তা জ্যাম হবে। একেই শহরের প্রধান রাস্তাগুলো ছোট হতে হতে ১৫ ফুটে এসে দাঁড়িয়েছে। আর কত নীচে নামব আমরা?’

Awas Yojana : খাতায়-কলমে নাম আবাসের তালিকায়, আজও বাড়ি জোটেনি মেদিনীপুরের ২৫০০ বাসিন্দার
নির্মাল্যের এই পোস্টের নীচে কমেন্টের বন্যা বইছে। বারবার যে প্রশ্নটা ঘুরেফিরে আসছে যে, এগুলো অনুমোদন পাচ্ছে কী ভাবে? পুরসভা, এমকেডিএ, প্রশাসন কী করছে? সঞ্জিত কুমার নামে এক নেটিজেন কমেন্ট করেছেন, ‘প্রশাসনের নাকের ডগায় এই সব হচ্ছে, সাধারণ মানুষ কী করবে? শুধু কপালে ভোগান্তি। আর রাস্তায় বেরোলেই ধাক্কা, অটো-টোটো মারপিট, রেগুলার ঘটনা।’

জাহেদ আলি লিখেছেন, ‘কিছু দিনের মধ্যেই মেদিনীপুর শহর চলাচলের অযোগ্য হয়ে যাবে পুরসভার বদান্যতায়।’ মানস দে লিখেছেন, ‘পুরসভা প্ল্যান পাশ করেছে। কী করার আছে? ২৫ জন পুরপ্রতিনিধির এই ব্যাপারটা অবশ্যই দেখা উচিত।’সোমনাথ বক্সি লিখেছেন, ‘মিউনিসিপ্যালিটি কী করছে? নাকে তেল দিয়ে ঘুমোচ্ছে? এটা দেখা তো ওদের কাজ।’ সুমন গোস্বামী লিখেছেন, ‘আমাদের প্রশাসন পারমিশন দেওয়ার সময়ে কেন এগুলো দেখে না?’

Howrah News Today : বেআইনি টোটোয় লাগামছাড়া যানজট, কড়া পদক্ষেপের পথে হাওড়া পুলিশ
আবার কেউ কেউ কটাক্ষ করে লিখেছেন, ‘আপনিও তো একসময় কাউন্সিলার ছিলেন। ৭ ফুট রাস্তা নেই। ১৪ তলা ফ্ল্যাটের অনুমোদন হচ্ছে কী ভাবে?’ মেদিনীপুর শহরে কয়েক হাজার টোটো, অন্যান্য যানবাহন, রাস্তার দু’পাশে দোকান। দিনে দিনে ফুটপাথ দখল করে বাড়ছে দোকান। রাস্তা ছোট হচ্ছে প্রতিদিন। বাড়ছে যানজট, হেলদোল নেই প্রশাসনের।

যুব তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক, মেদিনীপুর পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলার নির্মাল্য চক্রবর্তী বলেন, ‘মিউনিসিপ্যাল অ্যাক্ট অনুযায়ী সব ঠিক থাকলে পুরসভা অনুমোদন দেবেই। আমি পুরসভায় থাকাকালীন কালেক্টরেটের কাছে একটি মার্কেট কমপ্লেক্স নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলাম। বোর্ডে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, পরবর্তীকালে নিশ্চিত ভাবে দেখা হবে, মার্কেট কমপ্লেক্সের পার্কিং জোন আছে কিনা। কিন্তু তারপরেও যে-কে সেই। সবাইকে প্রতিবাদ করার জন্য আবেদন করেছি।’

Kolkata Municipal Corporation : ৪ কোটি মঞ্জুর! পুজোর আগেই শহরের জোড়া রাস্তা মেরামতির সিদ্ধান্ত KMC-র
মেদিনীপুর-খড়্গপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান দীনেন রায় বলেন, ‘এই বিষয়ে আমাদের কোনও ভূমিকা নেই। পুরো বিষয়টা দেখে পুরসভা। আমরা শুধু সাইট প্ল্যান করে দেখে অনুমতি দিই। আমরা শুধু ল্যান্ডের অনুমতি দিই। আমাদের এমকেডিএ-এর আর কোনও ভূমিকা নেই।’

মেদিনীপুর পুরসভার পুরপ্রধান সৌমেন খান বলেন, ‘আমরা সমস্ত মলকে চিঠি করে পার্কিং জোন করার কথা বলেছি। আমাদের পুরসভার আধিকারিকরা যাচ্ছেন। তাঁদের আন্ডারটেকেন লেখাচ্ছেন। পার্কিং নিয়ে সমস্যা হলে তা দেখে পুরসভা যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version