West Bengal Police: কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক কনস্টেবল মনোজিৎ বাগীশ। দুর্নীতি দমন শাখার হাতে তাঁর গ্রেফতারিতে ব্যাপক চাঞ্চল্য রাজ্যের পুলিশ মহলে। কিন্তু তার সহকর্মীরা কি কোনদিন আন্দাজ করতে পেরেছিলেন তাদের সহকর্মী সামান্য কনস্টেবলের চাকরি করে এত টাকার মালিক? মনোজিতের স্বভাবই বা কেমন ছিল? সে তাঁর ব্যক্তিগত কথা কী বলতো কাউকে? তাঁর আট মাসের সহকর্মী রামপুরহাট থানার মনোজিতের দুই সহকর্মীর সঙ্গে কথা বলল এই সময় ডিজিটাল।

West Bengal Police: ১০ লাখি জীবন বিমা, বান্ধবীকে দামি উপহার! বীরভূমে গ্রেফতার কোটিপতি কনস্টেবল

সায়গল হোসেনের বীরভূম জেলায় কর্মরত আরও এক পুলিশ কর্মী গ্রেফতারের ঘটনায় জেলা জুড়ে ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য । প্রায় আট মাস আগে হাওড়া থেকে বীরভূম জেলার রামপুরহাট থানায় আসেন তিনি । বারুইপুরের বাসিন্দা পেশায় পুলিশ কনস্টেবল এই মনজিত বাগীসের সম্পত্তির হিসাব চোখ কপালে তুলেছে রাজ্য পুলিশের। মূলত হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তির অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করেছে দুর্নীতি রাজ্য পুলিশের দুর্নীতি দমন শাখা। রবিবার বীরভূমে এসে দুর্নীতি দমন শাখার আধিকারিকরা তাকে গ্রেফতার করে ।

Baruipur News: ‘চাকরি পাওয়ার পরেই অস্বাভাবিকভাবে সব বদলে গেল…’, কোটিপতি কনস্টেবলকে নিয়ে মুখ খুললেন স্থানীয়রা

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই পুলিশ কনস্টেবল সম্প্রতি তার বান্ধবীকে ১১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা দামের গাড়ি উপহার দিয়েছেন। সামান্য কনস্টেবলের চাকরি করেও জীবন বীমা কিনেছেন ১০ লাখ টাকার। এছাড়া মনোজিৎ বাগীশের ব্যাঙ্কের নথি পরীক্ষা করে সন্ধান মিলেছে ১২ টি ফিক্সড ডিপোজিটের ও যার মূল্য ৭৬ লাখ টাকা। এছাড়াও একাধিক বাড়ি ও ফ্ল্যাট তার নামে রয়েছে বলেও পুলিশ সূত্রে খবর।

Senco Gold : জেল থেকে ডাকাতির ছক? সেনকো গোল্ডের ডাকাতিতে বড়সড় সাফল্য পুলিশের
প্রসঙ্গত, এই মনোজিৎ বাগীশের আসল বাড়ি বারুইপুরে । তাঁর বারুইপুরের বাড়িটি প্রসাদের কম নয়। সম্পূর্ণ সিসিটিভিতে মোড়া বলে জানা গিয়েছে। কর্মসূত্রে বীরভূমের রামপুরহাটের থানায় ছিলেন মনোজিৎ। প্রায় আট মাস আগে কর্মসূত্রে তিনি রামপুরহাটে এলেও তার পরিবার আসেনি জেলায় । তার স্বভাব কেমন ছিল ? তার বন্ধু বান্ধব ছিল কিনা ? কখনও কি কেউ আঁচ করতে পেরেছিলেন যে তিনি কোটি টাকার মালিক ? সেই সমস্ত তথ্য জানতেই এবার রামপুরহাট থানারই দুই পুলিশ কনস্টেবল এর সঙ্গে কথা বলে এই সময় ডিজিটাল।

West Bengal Constable Arrested: ‘বাগনান থানার মুকুটহীন সম্রাট’! কোটিপতি কনস্টেবলের উত্থানের কাহিনি চমকে দেবে

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মনোজিতের গত আট মাসের সহকর্মী দুই কনস্টেবল জানান, ‘প্রায় সাত-আট মাস ধরে বীরভূম জেলায় মনোজিৎ কর্মরত থাকলেও কোনওদিন সে নিজের ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে কিছু আমাদের কাউকে বলেনি। আর দশটা সাধারণ কনস্টেবল যেমন থাকে সেও ঠিক তেমন ভাবেই থাকত। সে যে কোটি টাকার মালিক তা কখনও কাউকে বুঝতে দেয়নি। রামপুরহাট থানাতেই থাকতো সে । প্রায় আট মাস ধরে জেলায় থাকলেও আমরা কখনও তার পরিবারকে দেখিনি । এমনকী তার আসল বাড়ি কোথায়, তাও কোনদিন আমাদের বলেনি । ডিউটি চলাকালীন আমাদের সঙ্গে সব বিষয়ে কথা বললেও ব্যক্তিগত বিষয় একটু এড়িয়ে চলত সে । হঠাৎই মনোজিতের গ্রেফতার হওয়ার ঘটনায় আমরাও অবাক হয়ে যাই। কোনদিন ভাবতে পারিনি ও কোটি টাকার মালিক ।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version