ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও স্পষ্ট না হলেও পুড়ে ছাই বহু গুরুত্বপূর্ণ নথি বলে অনুমান। ঘটনার পিছনে কোনও অর্ন্তঘাত রয়েছে নাকি নিছক দুর্ঘটনার কারণেই এই আগুন কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, গভীর রাতে আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের কার্যালয়ে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। রাত দুটো নাগাদ আচমকাই দেখা যায় ধোঁয়া বলে খবর। সঙ্গে সঙ্গে খখবর দেওয়া হয় অন্ডাল বিমানবন্দরের দমকল বিভাগকে। খবর পাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে দমকলের ১১টি ইঞ্জিন পৌঁছায়। কিন্তু এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি আগুন। আনা হয় হাইড্রোলিক ল্যাডারও।
আচমকা দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারে অবস্থিত আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের কার্যালয়ে আগুন লাগায় প্রচুর নথি নষ্টের আশঙ্কা ৷ কীভাবে লাগল আগুন ? খতিয়ে দেখছেন দমকল আধিকারিকরা ৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে রানিগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়ও পৌঁছন
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাইরে থেকেই দেখা যাচ্ছিল আগুনের লেলিহান শিখা। ক্রমে এক জায়গা থেকে অন্য ঘরে ছড়িয়ে পড়ে আগুন। দমকল পৌঁছে বাইরে থেকে জল দিতে শুরু করেন। ব্যবহার করা হয় হাইড্রলিক ল্যাডারও। দমকল এলে আগুন ছড়িয়ে পড়া আটকাতে কিছু পদক্ষেপ নেন। রাত বলে দফতরের ভিতরে কেউ ছিলেন না বলে বাঁচোয়া। কাগজপত্রের মতো প্রচুর দাহ্য পদার্থের উপস্থিতি থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে বলে অনুমান এবং এই বিপুল পরিমাণ দাহ্য পদার্থের কারণেই আগুন নেভাতে বেগ পেতে হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। পূর্ণশক্তি নিয়ে লড়াই চালাচ্ছে দমকল।
তৃণমূল বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এই অগ্নিকাণ্ডের উচ্চপর্যায়ের তদন্ত করাব। এই আগুনের কারণে বহু কর্মীর স্বপ্নের কার্যালয় ভস্মীভূত হয়ে গেল। আগুন নিভলে বোঝা যাবে কতটা ক্ষয়ক্ষতি।