তাপস প্রামাণিক

প্রসূতি ও অসুস্থ শিশুদের দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছে দিতে রাজ্যে চালু হচ্ছে কল সেন্টার। সেখানে ফোন করলেই বাড়িতে এসে হাজির হবে অ্যাম্বুল্যান্স। তারাই দায়িত্ব নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করবে। সুস্থ হওয়ার পর অ্যাম্বুল্যান্সে করেই তারা হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরতে পারবে। তার জন্য আলাদা করে কোনও ভাড়া গুণতে হবে না। সবটাই বিনামূল্যে। জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন প্রকল্পে এই নতুন পরিষেবা চালু করতে চলেছে রাজ্য স্বাস্থ্য বিভাগ।

স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের ব্যাখ্যা, যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ হওয়ার কারণে অনেক সময়ে প্রসূতি ও অসুস্থ শিশুরা ঠিক সময়ে হাসপাতালে পৌঁছাতে পারে না। ফলে অনেকে বাড়িতেই সন্তান প্রসব করেন। এ রাজ্যে বাসে কিংবা চলন্ত ট্রেনে সন্তান প্রসবের ঘটনারও নজির রয়েছে। সময়ে চিকিৎসা শুরু না হওয়ায় অনেক ক্ষেত্রে সদ্যোজাত শিশুর মৃত্যু হয়। এই সমস্যা দূর করতে প্রসূতি ও অসুস্থ শিশুদের জন্য ২৪ ঘণ্টার অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা চালু করার উদ্যোগ।

PMASBY : উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রধানমন্ত্রী আত্মনির্ভর সুস্থ ভারত যোজনায়, কী ভাবে সুবিধা পাবেন?
পরিকল্পনা অনুসারে, পিপিপি মডেলে সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে সারা রাজ্য জুড়ে এই বিশেষ পরিষেবা চালু হবে। কল সেন্টার তৈরি, অ্যাম্বুল্যান্স জোগাড় করা, প্রসূতি ও মায়েদের বাড়ি থেকে হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়া, এই সমস্ত পরিষেবা দেখভাল করবে বেসরকারি সংস্থা। সপ্তাহের সাতদিনই ২৪ ঘণ্টাই এই পরিষেবা চালু থাকবে। বিপদে পড়লে সাধারণ মানুষ যাতে ফোন করে অ্যাম্বুল্যান্স ডাকতে পারে তার জন্য টেলি হেল্পলাইন চালু করা হবে।

Ayushman Bhavah Scheme : গ্রাম থেকে শহর, সকলের বিনামূল্যে চিকিৎসা! প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে দেশে নয়া প্রকল্প
১০২ ডায়াল করলে বাড়ির দোরগোড়ায় পৌঁছে যাবে অ্যাম্বুল্যান্স। যে কোনও মোবাইল ফোন অথবা ল্যান্ড লাইন থেকে কল সেন্টারে ফোন করা যাবে। তার জন্য কোনও পয়সা দিতে হবে না। জানা গিয়েছে, গর্ভবতী মহিলারা ছাড়াও সন্তান প্রসবের পর ৪২ দিন পর্যন্ত এই ফ্রি পরিষেবা পাওয়া যাবে। কারও যদি প্রসব বেদনা ওঠে তারাও কল সেন্টার থেকে অ্যাম্বুল্যান্স ডাকতে পারবেন। অসুস্থ শিশুদের ক্ষেত্রে এক বছর পর্যন্ত এই সুবিধা নেওয়া যাবে।

Barasat Medical College: ক্যানসার বিশেষজ্ঞ থেকে অর্থোপেডিক, যোগ আরও ৫০ চিকিৎসকের! ২৬টি বিভাগ চালু বারাসত মেডিক্যালে
সমস্ত শ্রেণীর মানুষ এর সুযোগ নিতে পারবে। কোন কোন জেলায় কতগুলো অ্যাম্বুল্যান্স থাকবে সেটা সেখানকার পরিস্থিতি দেখে ঠিক করা হবে। টেন্ডার ডেকেই প্রতিটি জেলার জন্য আলাদা অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়া করা হবে। স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, একেকটা অ্যাম্বুল্যান্স রোজ সর্বোচ্চ তিনটি করে ট্রিপ করতে পারে এবং সারা মাসে তারা গড়ে ৫৭০০ কিমি পথ পাড়ি দিতে পারে। সেই মতো প্রতিটি জেলার জন্য অ্যাম্বুল্যান্সের সংখ্যা নির্ধারণ করা হবে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version