মৈত্রেয়ী ভট্টাচার্য ও অর্ণবাংশু নিয়োগী: লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের সম্পত্তির খতিয়ান তলব করেছে হাইকোর্ট। ‘২০২১ সাল থেকে সব নথিই ওদের কাছে রয়েছে’, বললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ইডি-র বিরুদ্ধে আপাতত কলকাতা পুলিসকে কোনও পদক্ষেপ না করার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট।

আরও পড়ুন: Partha Chatterjee: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থর বিরুদ্ধে চার্জশিটে অনুমোদন রাজ্যপালের!

নিয়োগ দুর্নীতির মামলায়  লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে ইডি-র তল্লাশি বিতর্ক। সংস্থার হিসেবরক্ষক চন্দন বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ‘তল্লাশি চলাকালীন কোম্পানির কম্পিউটারে ১৬ এক্সেল ফাইল ডাউনলোড করেছেন ইডি আধিকারিকরা। ওই ফাইলগুলির সঙ্গে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের কোনও সম্পর্ক নেই’।  লালবাজারের সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।

লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের অফিসে যান কলকাতা পুলিসের আধিকারিকরা। বাজেয়াপ্ত করা হয়  দুটি কম্পিউটার। শুধু তাই নয়, ইডি-কে মেল ১৪ প্রশ্ন জবাবও চেয়েছে কলকাতা। কেন? হেনস্থার অভিযোগে হাইকোর্টে পাল্টা মামলা দায়ের করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। 

এদিন মামলাটির শুনানি হয় বিচারপতি অমৃত সিনহার এজলাসে। রাজ্যে তরফে আদালতে জানানো হয়, ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের তল্লাশিতে কি ভুয়ো ইডির আধিকারিক? জানতে চেয়ে ইডিকে ইমেল করেছে কলকাতা পুলিস’। রাজ্যের সওয়াল, ‘মাধেমঝ্যেই কেন্দ্রীয় এজেন্সির ভুয়ো আধিকারিক ধরা পড়ে। তবে জানতে চাওয়ায় ক্ষতি কী’?  

ইডির পাল্টা সওয়াল, ‘বারবার এই নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে, গতি স্তব্ধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। পুলিশকে দিয়ে এই কাজ করানো হচ্ছে। এর পিছনে প্রভাবশালীদের হাত রয়েছে’। কেন্দ্রীয় তদন্তকারীর সংস্থার আরও বক্তব্য, ‘আমাদের বলতে বাধা নেই যে সাংবিধানিক পদে থাকা ব্যক্তিদের নির্দেশে এসব হচ্ছে। আমরা যখনই জানিয়েছে যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এখনও লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের সিইও রয়েছেন তার পর থেকেই এই হয়রানি শুরু হয়েছে’।

এর আগে, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে তল্লাশি বিতর্কে কলকাতা পুলিস কমিশনার চিঠি দেয় ইডি। চিঠিতে উল্লেখ, সংস্থার এক অফিসার তাঁর সন্তানের জন্য হস্টেল খুঁজছিলেন। একটি ওয়েবসাইট খোলার পর ওই ১৬ ফাইল আপনা-আপনি ডাউনলোড হয়ে যায়। এদিন শুনানিতে ইডি-র আইনজীবীকে বিচারপতি অমৃতা সিনহা বলেন, আপনাদের আধিকারিকও ঠিক কাজ করেনি’।

আরও পড়ুন: Boot Liquor: বাজারে ভুয়ো হুইস্কির রমরমা, কলকাতা থেকে সাপ্লাই হচ্ছে জাল লেবেল

কী প্রতিক্রিয়া রাজনৈতিক মহলে? বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন,’ তৃণমূল কংগ্রেসের প্রশাসন নিজেদের আয়নার অন্যের প্রতিচ্ছবি দেখার চেষ্টা করছে। তদন্তকারী অফিসারের ভুল থাকতে পারে, কিন্তু সদিচ্ছার অভাবে আছে এ প্রশ্ন এখনও পর্যন্ত তোলেনি। পশ্চিমবঙ্গে এখনও দলমত নির্বিশেষে ইডি-র উপরে ভরসা আছে। হাজার চেষ্টা করেও তদন্ত আটকাতে পারবে না’।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version