জানা গিয়েছে, সোনারপুরের একটি স্কুলের ছাত্রী ছিলেন পিঙ্কি মাইতি। এই বছর তাঁর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। সোশাল মিডিযায় তার সঙ্গে আলাপ হয় ঈশান দাসের। সোনারপুরেরই যুবক ইশান দাসের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন পিঙ্কি। বিষয়টি দুই পরিবারে জানাজানি হলে পিঙ্কির পরিবার থেকে এখনই বিয়েতে বাধা দেওয়া হয়৷ পরিবারের অমতে পালিয়ে গিয়ে মাত্র তিনমাস আগে জুন মাসে ইশানকে বিয়ে করেন পিঙ্কি। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই পিঙ্কির উপর অত্যাচার শুরু হয় বলে অভিযোগ।
এরপর দিন কয়েক আগে পিঙ্কির দিদির রিঙ্কি হালদারকে হঠাৎই ফোন করে ইশান। জানায় পিঙ্কি গলায় দড়ি দিয়েছেন। পিঙ্কির বাড়ির লোকেরা সোনারপুর গ্রামীণ হাসপাতালে গিয়ে দেখেন তিনি অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন। এই ঘটনায় ইশান-সহ তার পরিবারের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয় সোনারপুর থানায়। পিঙ্কির পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ইশানকে গ্রেফতার করেছে সোনারপুর থানার পুলিশ। ঘটনার তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন বারুইপুর পুলিশ জেলার ডিএসপি মোহিত মোল্লা।
এই প্রসঙ্গে মৃতার মা লক্ষ্মী মাইতি বলেন, ‘আমার মেয়ে দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ত, এই বছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিত। ছেলেটার সঙ্গে ফেসবুকে আলাপ হয়। ছেলেটা আমার আমার মেয়েকে ব্ল্যাকমেল করত, বিয়ে না করলে সুইসাইড করবে বলত, আমির মেয়ে ওর কথা শুনে চলে যায়। মেয়েকে আমরা ফিসে আসার জন্য অনেকবার বলেছি। কিন্তু মেয়েকে ওরা আসতে দেয়নি। আমি যাওয়াআসা করেছি, সুস্থ ছিল। তারপর হঠাৎ খবর পেলোম মেয়েকে অত্যাচার করে খুন করা হয়েছে। থানায় অভিযোগ করেছি।’ পিঙ্কিকে মারধর করা হয়েছে এবং গলায় ফাঁস দিয়ে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর বাপেরবাড়ির লোকেদের।
পাশাপাশি মৃতার দিদি রিঙ্কি হালদার বলেন, ‘বোনের থুতনিতে যে দাগ ছিল, তা দেখে মনে হচ্ছিল ওকে মারধর করা হয়েছে। তলপেটেও রক্ত জমে যাওয়ার দাগ ছিল। ওকে খুন করা হয়েছে। আমার ছেলেটার ফাঁসি চাই। আর ওর বাবা-মা যদি এতে জড়িত থাকে, তাহলে তাদেরও কঠিন শাস্তি চাই।’