কৌস্তভ বাগচী বলেন, ‘বিরোধী দলনেতা হিসেবে শুভেন্দু অধিকারীর ভূমিকা অস্বীকার করার কোনও জায়গা নেই। বিজেপিতে থেকে তিনি সবটা করতে পারছেন না, এর জন্য একটি বিকল্প রাজনীতি প্রয়োজন। আমাদের সময় একজন বিরোধী দলনেতা ছিলেন, মানুষ জানতেনই না, এখন বিরোধী দলনেতা কে মানুষ জানেন, বিরোধী দলনেতার পারফরম্যান্সকে ছোট করে দেখা যাবে না। এই কংগ্রেস নেতা আরও বলেন, ‘তৃণমূলকে উৎখাত করার জন্য আমার কাছে শুভেন্দু অচ্ছুৎ নন, বিজেপির সঙ্গে মতান্তর থাকতেই পারে, কিন্তু তিনি অচ্ছুৎ নন।’ একইসঙ্গে কৌস্তভের তাৎপর্যপূর্ণ ইঙ্গিত,’ধৈর্য ধরুন, ইন্টারেস্টিং দিকে এগোচ্ছে রাজনীতি।’
এই সময়কে যা বললেন কৌস্তভ বাগচী…
কৌস্তভের এহেন মন্তব্য থেকেই রাজনৈতিকমহলের একাংশে প্রশ্ন উঠতে থাকে, তাহলে কি ভবিষ্যতে দলবদলের কোনও ইঙ্গিত দিলেন তিনি? তবে এই প্রসঙ্গে এই সময় ডিজিটালকে কৌস্তভ বলেন, ‘আমি কি একবারও বলেছি বিজেপি অচ্ছুৎ নয়? আমি কি একবারও বলেছি বিজেপিতে যাচ্ছি? যা করেছি বুক ফুলিয়ে করেছি, যা করেছি মাথা উঁচু করে করেছি। আমি বলেছি ২০১৬ সালে আমাদের একজন বিরোধী দলনেতা ছিলেন,মানুষ জানতেনই না। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী বিরোধী দলনেতা হিসেবে যে কাজ করছেন, সেটা তো কোনওভাবে ছোট করে দেখা যায় না!শুভেন্দু অধিকারীর কাজকে কোনওভাবেই প্রশংসা না করে থাকা যায় না, প্রশংসা করেছি।’
কৌস্তভের সংযোজন, ‘আমি বলেছি পশ্চিমবঙ্গে একটা বিকল্প রাজনীতির দরকার, এটা বলা মানে এই অর্থ নয়, যে আমায় বিজেপিতে যেতে হবে। আমি যদি কখনও দলবদল করি, চিৎকার করে বলেই করব, লুকিয়ে করব না। অহেতুক জল্পনার দরকার নেই।’ একইসঙ্গে ইন্ডিয়া জোট প্রসঙ্গে কৌস্তভ বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে তৃণমূলকে নিয়ে কোনও ইন্ডিয়া নয়। তৃণমূল মাইনাস ইন্ডিয়া, আছি। তৃণমূল প্লাস ইন্ডিয়া, নেই। পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস কর্মীরা তৃণমূলের সঙ্গে ইন্ডায় কনসেপ্টকে কোনওভাবেই মান্যতা দেবেন না। পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস যদি তৃণমূলের সঙ্গে জোট করে, দলটার সুইসাইড করা হয়ে যাবে। আমাদের নেতারা যদি সুইসাইড করতে চান করুন, আমি করতে চাজি নই। সাধারণ কংগ্রেস কর্মীরা সুইসাইড করতে রাজি নন।’
যদিও শুভেন্দুকে নিয়ে কৌস্তভের এই মন্তব্য প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে চায়নি প্রদেশ কংগ্রেস। এই বিষয়ে কংগ্রেস নেতা সৌম্য আইচ রায়কে ফোন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি এই বিষয়ে মন্তব্য করব না।’ অন্যদিকে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘শুভেন্দু অধিকারী যে কাজ করছেন সেটার প্রশংসা করতে বাধ্য। আর সেটা যে বিরোধী দলের নেতদেরও আকৃষ্ট করছে এটা আনন্দের বিষয়।’