এই সময়: বাংলার প্রতি নরেন্দ্র মোদী সরকারের আর্থিক বঞ্চনার প্রতিবাদ জানাতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূলের পাঁচশোর বেশি জনপ্রতিনিধি দিল্লি যাচ্ছেন। এই দলে থাকছেন সমস্ত সাংসদ, বিধায়ক, জেলা পরিষদের সভাধিপতি, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিরা। তাঁদের সঙ্গেই দিল্লি যাবেন তৃণমূলের সমস্ত সাংগঠনিক জেলা সভাপতি ও শাখা সংগঠনের নেতৃত্বও।

আগামী ১ অক্টোবর এঁদের দিল্লি পৌঁছে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জনপ্রতিনিধিরা দিল্লি যাওয়ার প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছেন। দলের এক বিধায়কের কথায়, ‘১ অক্টোবর সকালের ফ্লাইটে আমরা দিল্লি পৌঁছে যাব। এখনও পর্যন্ত বঙ্গভবনে থাকার পরিকল্পনা করা হয়েছে। ৩ তারিখ বাংলায় ফিরব।’

TMC Protest At Delhi : ৫০ হাজার ১০০ দিনের কর্মী নিয়ে তৃণমূলের ‘দিল্লি চলো’, DCP-কে চিঠি ডেরেকের
রামলীলা ময়দানে তৃণমূলকে ধর্নার অনুমতি দেয়নি অমিত শাহ-র অধীনে থাকা দিল্লি পুলিশ। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের সামনেও প্রতিবাদ কর্মসূচির অনুমতি মেলেনি। এই পরিস্থিতিতে ২ অক্টোবর গান্ধী জয়ন্তীর দিনে দিল্লিতে রাজঘাটের কাছে অভিষেকের নেতৃত্বে প্রতিবাদ জানাতে পারেন তৃণমূলের সাংসদ, বিধায়ক, পঞ্চায়েত সমিতির সভাধিপতি, সভাপতিরা।

তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই কর্মসূচিতে যোগ দিতে পারেন। দিল্লি পুলিশ অনুমতি না দিলেও রামলীলা ময়দানে অবস্থান করতে চেয়ে আদালতে যাওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। দিল্লিতে এই কর্মসূচির পাশাপাশি ২ তারিখ কলকাতায় মেয়ো রোডে গান্ধী মূর্তির সামনেও ধর্নায় বসতে পারেন জোড়াফুল শিবিরের নেতারা। এ ছাড়া জেলায় জেলায় এই প্রতিবাদ কর্মসূচি হবে। দিল্লিতে তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের প্রতিবাদ কর্মসূচি জায়ান্ট স্ক্রিন বসিয়ে আমজনতাকে দেখানো হতে পারে বিভিন্ন জেলায়।

TMC Protest at Delhi : কেন্দ্রের বকেয়া নিয়ে প্রতিবাদ! ২ অক্টোবর দিল্লি যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী, সঙ্গী তৃণমূলের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা
এ সবের মধ্যেই ভাবা হচ্ছে রাত্রিবাসের কথা। দিল্লি পুলিশ রামলীলা ময়দানে কর্মসূচির অনুমতি দিলে সেখানেই তাঁবুতে জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে রাত্রিবাসের কথা ভেবেছিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে বঙ্গভবনে এত জনপ্রতিনিধির থাকার জায়গা হবে কি না, তা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন। তাই দিল্লিতে একাধিক জায়গায় বিধায়ক, পঞ্চায়েত সমিতির সভাধিপতিদের রাখার পরিকল্পনা করা হয়েছে।

তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, ‘সাংসদদের বাসভবনে অনেকে থাকবেন। এ ছাড়া অতিথিশালা-সহ বিকল্প কিছু জায়গায় থাকবেন জনপ্রতিনিধিরা।’ ১০০ দিনের বকেয়া, আবাস যোজনার টাকার দাবিতে তৃণমূল দিল্লিতে প্রতিবাদ কর্মসূচি করতে বদ্ধপরিকর। যা নিয়ে খোঁচা দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। বিধানসভার বাইরে বিরোধী দলনেতা বুধবার বলেন, ‘দিল্লিতে ১৪৪ ধারা নেই, দিল্লি কেউ বন্ধ করে রাখেনি। যে কেউ যেতে পারে।

TMC Nabo Jowar : ২৪ নির্বাচনের আগে নবরূপে ‘নবজোয়ার’?
কিন্তু ওই প্ল্যাকার্ড নিয়ে ধর্না করতে দেওয়া হবে না বলে পুলিশ জানিয়েছে। অশান্তি করতে দেওয়া হবে না বলে দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে। তা ছাড়া টাকা বন্ধ করা হয়নি, চুরি বন্ধ করা হয়েছে।’ শুভেন্দুর এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় শান্তনু বলেন, ‘অশান্তি ও হিংসা যাঁদের রাজনৈতিক হাতিয়ার, তাঁদের মুখে এমন কথা মানায় না। তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা দিল্লিতে ন্যায্য দাবি আদায় করতে যাচ্ছেন, কেউ অশান্তি করতে যাচ্ছেন না।’

তবে প্রাথমিক ভাবে জোড়াফুলের সমস্ত বিধায়ককে দিল্লি যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলেও কয়েকজন নেতা-মন্ত্রী রাজ্যে থাকবেন বলে তৃণমূল সূত্রের খবর। মেয়ো রোডে গান্ধী মূর্তির সামনে যে ধর্না হবে, সেখানে থাকতে পারেন তাঁরা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version