কোন কোন ঠাকুর দেখা যাবে?
ডব্লুবিটিসি-র ওয়াবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী জলপথ ও স্থলপথের মেলবন্ধনে আয়োজিত হবে এই পুজো পরিক্রমা। ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, মিলেনিয়াম পার্ক থেকে লঞ্চ ছাড়বে সকাল ১১টায়। তারপর হাওড়া জেটি ঘাট ঘুরে সেটি পৌঁছবে আহিরীটোলায়। সেখান থাকবে এসি বাস। তাতে চেপে শুরু হবে ঠাকুর দেখা। সেই যাত্রা পথে থাকবে আহিরীটোলা সংলগ্ন পুজোগুলি। এছাড়াও থাকবে সোভাবাজার রাজবাড়ির পুজো, কুমোরপুটি পার্ক ও সর্বজনীন, জগৎ মুখার্জী পার্কের পুজো। তারপর গন্তব্য বলরাম মন্দির ও শ্রী শ্রী মায়ের বাড়ি। শেষে বাগবাজার সর্বজনীব পুজো মণ্ডপ ঘুরে দর্শনার্থীদের আবার লঞ্চে তুলে দেওয়া হবে। এরপর সেই লঞ্চ হাওড়া জেটি ঘাট ঘুরে পৌঁছে যাবে মিলেনিয়াম পার্কে।
খরচ ও পরিষেবা
মোটামুটি ৫ ঘণ্টার এই প্যাকেজ পুজো পরিক্রমায় দর্শনার্থীদের দেওয়া হবে স্ন্যাক্স ও চা। সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমী, তিনদিনই থাকছে এই প্যাকেজ পুজো পরিক্রমার ব্যবস্থা। এর জন্য পাঁচ বছর ও তার বেশি বয়সীদের জন্য মাথাপিছু খরচ পড়বে সাড়ে সাতশো টাকা।
বুকিং কী ভাবে করবেন?
এই বিষয়ে বিস্তারিত বিবরণ ও অনলাইনে বুকিংয়ের জন্য লগ ইন করতে পারেন www.wbtconline.in-এ লগ ইন করতে পারেন। তাছাড়াও যোগাযোগ করতে পারেন বিভিন্ন ডিপো, বাস টার্মিনাস ও পরিবহণ ভবনে।
এই বিষয়ে পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী এই সময় ডিজিটালকে বলেন, ‘উত্তর ও দক্ষিণ কলকাতাকে সংযুক্ত করছি এবার। ভিড়কে এড়িয়ে জলপথে উত্তর ও দক্ষিণ কলকাতাকে যুক্ত করা হচ্ছে, যাতে এই দুই কলকাতার পুজোগুলো মানুষ দেখতে পারেন। ভেসেল এবং বাসের কম্বিনেশনে থাকছে।’
প্রসঙ্গত, পুজোর সময় কলকাতার বুকে নামে জনস্রোত। উত্তর থেকে দক্ষিণ, শহরের ছোট-বড় সমস্ত পুজো মণ্ডপেই থাকে দর্শনার্থীদের ভিড়। তারই মাঝে মানুষকে আরও ভালোভাবে ঠাকুর দেখার সুযোগ করে দিতে বছর বছর এই ধরণের প্যাকেজ নিয়ে আসে পরিবহণ দফতর। ব্যতিক্রম দেখা গেল না এবারেও। এর ফলে মানুষ আরও ভাল করে পুজো উপভোগ করতে পারবেন বলেই মনে করছেন দফতরের কর্তারা।