জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আপাতত স্বস্তি পেয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে এখনই কোনও কড়া পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না। তবে রক্ষাকবচ মিললেও ঘাসফুল নেতার দাবিতে এখনই খারিজ নয় এনফোর্সমেন্ট কেস ইনফর্মেশন রিপোর্ট (ECIR)। আপাতত ইসিআইআর বহাল থাকছে। কিন্তু এর ভিত্তিতে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না বলেই নির্দেশ বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের।

আরও পড়ুন- ‘কে এক ভাইপো আছে, তার কোটি টাকার চারতলা বাড়ি’, মন্তব্য বিচারপতি গাঙ্গুলির!

নিয়োগ মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ইসিআইআর দায়ের করেছিল ইডি। ফৌজদারি মামলায় যেমন এফআইআর দায়ের করা হয়, তেমনই ইডি কোনও মামলায় সরকারি ভাবে অভিযোগ দায়ের করলে তাকে বলা হয় ইসিআইআর। ইডির দায়ের করা এই ইসিআইআর খারিজের দাবি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বস্তির পর মুখ খুলেছেন তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য। এদিন এক্স মাধ্যমে দেবাংশুর তোপ, নিজেদের ইসিআইআরের ভিত্তিতে কোনও প্রমাণ দিতে পারেনি ইডি। কেবল দেখিয়েছে কালীঘাটের কাকুর কিছু বক্তব্য। সেখানও প্রশ্ন রয়েছে বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে। তদন্ত করে কী বের হল তাহলে। একটা ছেলেকে চার বার ডেকেও নো প্রুফ! বড় স্বস্তি লাগছে ভেবে যে সবাই “বিকাশদার পায়ের কাছে” বসে নেই। এখনও আইনের চোখ বাঁধা, কেবল হাতের দাড়িপাল্লাই প্রমাণের ওজন মেপে নেয়।

এনিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, প্রথম থেকেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছেন তিনি বিন্দুমাত্র অপরাধ করেননি। যদি করে থাকেন তাহলে তার এক ইঞ্চি প্রমাণ দিতে পারলে তিনি নিজে স্বেচ্ছায় শাস্তি বরণ করে নেবেন। আজ কোর্ট বলেছে কোনও অর্থবহ প্রমাণ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দেখানো যাচ্ছে না। অর্থাত্ জোর করেও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জড়ানো যাচ্ছে না। বিজেপি যেভাবে এজেন্সিকে দিয়ে অভিষেকের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পরায়ণ আক্রমাণ চালাচ্ছে, ফাঁসানোর চেষ্টা করছে তা ফের সামনে চলে এসেছে।

বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘ভাইপো’মন্তব্যের বিরুদ্ধে এবার অল আউট আক্রমণে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ‘ভাইপো’ মন্তব্য নিয়ে বলেন,  উনি কোন ভাইপোর বাড়ি দেখেছেন তা আমি জানি না। ওঁর মতো ঐশ্বরিক ক্ষমতা আমার নেই। হয়তো উনি নিজের ভাইপোর বাড়ি দেখেছেন! এসব অবান্তর কথা। একজন বিচারপতি তাঁর চেয়ারে বসে তাঁর নিরপেক্ষতা প্রমাণ করবেন এটা আমরা আশা করি। এসব অবান্তর কথা বলে সংবাদমাধ্যমে মুখ দেখানো যায়। বাকীটা কিছু হয় না। অনেক কিছুই তো করলেন। পঞ্চায়েতে হলটা কী!  

উল্লেখ্য, শুক্রবার একটি কোভিড ক্ষতিপূরণ মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায় কটাক্ষের সুরে বলেন, “চোলাই মদ খেয়ে মারা গেলে ২ লাখ, কোভিডে মৃত্যুতে কত?” বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায় প্রশ্ন করেন, জানতে চান, ‘আদৌ টাকা দেওয়া হয়?’ তারপরই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায়ের মন্তব্য, “কে একটা ভাইপো আছে তার বাড়ি চারতলা। কোটি টাকার বাড়ি! কোথা থেকে আসে এত টাকা?

এনিয়ে সুর চড়ালেন কুণাল ঘোষ। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, গাঙ্গুলি তাঁর বেড়ে ওঠার সময় জ্যোতি বসুর পুত্র চন্দন বসুকে ঘিরে নানা ইস্যু দেখে অভ্যস্ত। ‘ভাইপোর কোটি টাকার বাড়ি’ বলতে উনি ওঁর ওই ভাইপোর কথা বলেছেন কি? বাকি কিছু বলতে চাইলে চেয়ারটা ছেড়ে রাজনীতি করুন। বাড়াবাড়িটা সীমাহীন হয়ে যাচ্ছে। বিচারপতির চেয়ারে বসে যা ইচ্ছে বলা যাবে? রাজনীতি করা যাবে? বিরোধীদের ফুসমন্তর দেওয়া যাবে? বিচারব্যবস্থার কলঙ্কের মত আচরণ চলতে থাকবে? বিচারব্যবস্থার রক্ষাকবচে থেকে পথসভার কুৎসা করে যাবে একজন? গাঙ্গুলি, ইস্তফা দিয়ে রাজনীতি করুন।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

 





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version