এই সময়, গোবরডাঙা: খাদ্য সুরক্ষা দফতরের প্রয়োজনীয় লাইসেন্স বা রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট ছাড়াই বছরের পর বছর ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন অনেকে। ফলে ভুগতে হয় উপভোক্তাদের। সচেতনতার অভাবেই ব্যবসায়ীদের অনেকের মধ্যে খাদ্য সুরক্ষা দফতের গিয়ে লাইসেন্স সংগ্রহ না করার একটা প্রবণতা দেখা যায়। বিষয়টি মাথায় রেখেই স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের ব্যবস্থাপনায় খাদ্য সুরক্ষা দফতর বৃহস্পতিবার গোবরডাঙার নকপুল বাজারে খাদ্য সুরক্ষা রেজিস্ট্রেশন ও লাইসেন্সিং মেলার আয়োজন করে।

Aadhaar Biometric Fraud : রেশনে ই-পস মেশিনে আঙুল ঠেকাতেও ভয়
পথচলতি লোকজনকেও খাদ্য সুরক্ষা সম্পর্কে সচেতন করা হয়। জেলা জুড়ে পানীয় জল, কাসুন্দি, আচারের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ফাস্ট ফুড সেন্টার চালিয়ে রমরমা ব্যবসা করছেন অনেক ব্যবসায়ী। কিন্তু সকলের কি খাদ্য সুরক্ষার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র থাকে? উত্তর না। প্রয়োজনীয় সরকারি কাগজপত্র না নিয়েই অনেক ক্ষেত্রে নকল খাদ্য সামগ্রীর ব্যবসাও চলছে।

West Bengal Safety Audit Cell : কতটা সুরক্ষিত রাস্তা, সেফটি অডিট রাজ্যে
ফলে ক্রেতারা যেমন ঠকছেন, তেমনই খাদ্য সুরক্ষা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন। অন্য দিকে লাইসেন্স না নেওয়ায় সরকারেরও উপার্জন হচ্ছে না। এ দিন গোবরডাঙার নকপুল বাজারে খাদ্য সুরক্ষা দপ্তরের আধিকারিকরা লাইসেন্সিং মেলায় এ নিয়ে ব্যাবসায়ীদের সচেতন করেন। অনেকে আবেদনও করেছেন।

Biriyani : বিরিয়ানিতে ক্ষতিকর রং, বাসি মাংস! পুজোর আগে অভিযান চালিয়ে হতবাক খাদ্য সুরক্ষা দফতর
খাদ্য সুরক্ষা দফতরের আধিকারিক শুভব্রত দাস বলেন, ‘যদি কোনও ব্যবসায়ী খাদ্য সুরক্ষার লাইসেন্স বা রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট ছাড়াই ব্যবসা করেন, সেক্ষেত্রে ছ’মাসের জেল ও নগদ টাকা জরিমানার নিদান রয়েছে।’ স্থানীয় বাসিন্দা কাজল সেন বলেন, ‘এ বিষয়ে অবগত ছিলাম না। তবে প্রশাসনের উদ্যোগে অনেক কিছুই জানতে পারলাম। এ জন্য দপ্তরের আধিকারিকদের সাধুবাদ জানাই।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version