জুতো সেলাই থেকে চণ্ডীপাঠ! বাংলায় এমন প্রবাদ সকলেই শুনেছেন। এক ব্যক্তি সব ধরনের কাজ করতে সক্ষম হলে এই প্রবাদ ব্যবহৃত হয় হামেশাই। তবে সেই প্রবাদকে আক্ষরিক অর্থে বাস্তবে মিলিয়ে দিলেন হুগলির এক যুবক।

Hooghly TMC : পাড়ার ক্লাবে মদ-গাঁজার নেশা! খবর পেয়ে ‘দলবল’ নিয়ে হানা তৃণমূল বিধায়কের, তারপর…
কী জানা যাচ্ছ?

বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোর হাতে গোনা মাত্র কয়েকটা দিন বাকি। দশভূজার কাউন্টডাউনের আসল সূচনা হয় মহালয়া দিন থেকে। পিতৃপক্ষের অবসান ঘটিয়ে শুরু হয় দেবী পক্ষের সূচনা। আর মহালয়া মানেই কাক ভোরে উঠে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠে চণ্ডীপাঠ শোনা। যা না শুনলে বাঙালির পুজোর আমেজ ষোলো আনা হয়ে ওঠে না। ঠিক এমনই এক ভোরে বাবার সঙ্গে উঠে রেডিওতে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কন্ঠে মহালয়া শুনেছিলেন শেওড়াফুলির অভয় সাহা।

Hooghly News : বধূকে খুন করে ‘লোপাট’ দেহ, মায়ের পরিণতি দেখে কান্না একরত্তির! পাণ্ডুয়াতে চাঞ্চল্যকর ঘটনা
পেশায় জুতো বিক্রেতা

শেওড়াফুলির অভয় সাহার এখন বয়স আটচল্লিশ। পেশায় একজন জুতো বিক্রেতা। সেখান থেকে যা উপার্জন হয় তা থেকেই তিনি জীবিকা নির্বাহ করেন। তবে তাঁর নেশা বলতে মহিষাসুরমর্দিনীর চণ্ডী পাঠ করা। জুতো বিক্রেতা হয়ে অনর্গল চণ্ডীপাঠ করতে পারদর্শী অভয়। পুজো এলেই বিভিন্ন মণ্ডপে তাঁর ডাক আসে জনসমক্ষে চণ্ডীপাঠ করার জন্য।

Hooghly News : বর্তমান অনুপস্থিত, রাতের অন্ধকারে পঞ্চায়েত অফিসে প্রাক্তন TMC প্রধান! পাণ্ডুয়ায় ধুন্ধুমার
ছোট থেকেই চণ্ডী পাঠে তামিল

যখন ১৫ বছর বয়স সেই বয়স থেকেই তিনি শুরু করেন চণ্ডীপাঠ করা। তাঁর কন্ঠে চণ্ডীপাঠ শুনে স্তম্ভিত হয়ে যান পাড়া-প্রতিবেশীরা। পিতা-মাতার পাশাপাশি বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রকেও রোজই স্মরণ করেন তিনি। কারণ তাঁর কন্ঠেই মহালয়া শুনে বড় হয়েছে এই জেনারেশনের মানুষ। প্রবাদপ্রতীম বেতার শিল্পীর আদর্শেই তাঁর এই প্রচেষ্টা বলে জানান অভয়।

মদগাঁজার ঠেকে আচমকা হাজির বিধায়ক! শুরু অ্য়াকশন!

কী জানালেন অভয়

তিনি বলেন, ‘মহালয়ার দিন ভোরে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কন্ঠে মহালয়া শোনার জন্য বাবা ডেকে তুলেছিলেন। তখন বয়স ছিল ১৫। বলেছিল বীরেন্দ্রকৃষ্ণের মত চণ্ডীপাঠ করতে পারবে কিনা? তখন বলেছিলাম আমি চেষ্টা করব।’ তখন থেকে শুরু হয় চণ্ডীপাঠ করা। এখনও চালিয়ে যাচ্ছি সেই রেওয়াজ। ২০০৯ সাল থেকে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলেও চণ্ডীপাঠ করেন তিনি। পাশাপাশি জগদ্ধাত্রী স্তোত্র মুখস্ত রয়েছে তার। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে অনুশীলন করতে হয়েছে তাঁকে। পুজোর সময় শ্রীরামপুর সহ বিভিন্ন পুজো মণ্ডপ চণ্ডীপাঠ করেছেন। এ বছরেও একাধিক মণ্ডপ থেকে তাঁর বায়না আসবে। মহালয়ার আগে তাঁর ব্যস্ততা তুঙ্গে। আগামী দিনে ভক্তি ভরে তাঁর এই চালিয়ে যেতে চান হুগলির অভয়।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version