পরিবারের লোকজনেরা জানাচ্ছেন, শনিবার ওই পড়ুয়া স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে খাওয়াদাওয়া সেরে ছাদে ওঠে। এরপর কিছুক্ষণ পর গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তার দেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার কথা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। খবর যায় পুলিশেও। রবিবার দেহটির ময়না তদন্ত হয় কালনা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে।
এই বিষয়ে পরিবারে সদস্য বামাচরণ মণ্ডল জানান, ‘ও (দিব্যেন্দু) স্কুল থেকে এসে ভাত খেয়ে শুয়েছিল। ওর মা-ও শুয়েছিল। তারপর কখন ও খেলা করতে ছাদে গিয়েছে কেউ দেখেনি। ছাদে কাপড় শুকোতে দেওয়া ছিল, কখন কাপড়টা গলায় পেঁচিয়ে গিয়েছে কেউ দেখেনি। এরপর আমাদের পাশের বাড়ির একজন জানালা দিয়ে দেখে যে ও গলায় কাপড় পেঁচানো অবস্থায় ছাদে বসে আছে। সে তখন বলে তাড়াতাড়ি ছাদে যাও, দেখ দিব্যেন্দু কাপড় জড়িয়ে কী করছে! তখন সঙ্গে ছাদে গিয়ে ওকে নিয়ে হাসপাতালে যাওয়া হয়, ডাক্তারবাবু বললেন সব শেষ।’
বামাচরণ মণ্ডল মনে করছেন, খেলার ছলেই হয়ত ঘটে গিয়েছে এই ঘটনা। মৃতের ছাত্রে মোবাইলের ওপরেও বিশেষ আসক্তি ছিল না বলেই জানাচ্ছে পরিবার। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তরতাজা কিশোরের মৃত্যুতে শোকের ছায়া গোটা এলাকাজুড়ে।
এর আগেও ঘটেছে এমন ঘটনা
এর আগে গতবছর এই পূর্বস্থলীতেই আরও একটি ঘটনা ঘটে। সেই সময় খেলার ছলে গলায় গামছার ফাঁস লেগে মৃত্যু হয় এক বালকের। মৃতের নাম জয়দীপ মাহাতো। তার বাড়ি ছিল পূর্বস্থলীর হৃষি গ্রামে। পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, নিজের বাড়িতে খাটের সঙ্গে গলায় গামছার ফাঁস লাগানো অবস্থায় দেহ উদ্ধার হয় জয়দীপের। পরে পূর্বস্থলী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
ঘটনায় মৃতের বাবা জানিয়েছিলেন, স্নান খাওয়া সারার পর জয়দীপ ঘুমতে গিয়েছিল৷ কাজ করছিলেন জয়দীপের মা৷ কাজ সেরে ঘরে জামাকাপড় রাখতে গিয়ে দেখেন ছেলে উলটো হয়ে খাটের কাছে মুখ গুঁজে পড়ে রয়েছে৷ আর একটি গামছা ঝুলছে, যেটি ওর গলায় জড়ানো রয়েছে। ছেলেকে ডাকতে গিয়ে দেখেন সব শেষ।