ঝকঝকে চেম্বারের বাইরে একাধিক ডিগ্রির বিভিন্ন হাসপাতালের চিকিৎসকদের নামের তালিকা। সাজানো গোছানো চেম্বারে রোজই রোগীর লম্বা লাইন। রমরমা পসার। কিন্তু, নিউরো হোক বা হার্ট সব সমস্যার সমাধানে হাজির একজনই ধন্বন্তরি। দিনের পর দিন এমন কাণ্ড দেখে জাগে সন্দেহ। স্থানীয় বাসিন্দারা বিষয়টি খতিয়ে দেখতে রহস্য ফাঁস। ভুয়ো চিকিৎসক সন্দেহে এক ব্যক্তিকে আটক করল কোতয়ালি থানার পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহারের ধর্মতলায়।

দীর্ঘদিন ধরে একই কাণ্ড দেখে চেপে ধরেন স্থানীয়রা। মঙ্গলবার সকালে কোচবিহার শহরের ধর্মতলা এলাকার এক চেম্বার থেকে ওই ভুয়ো চিকিৎসককে স্থানীয় কাউন্সিলর শুভ্রাংশু সাহার নেতৃত্বে আটক করে বাসিন্দারা। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। কোতয়ালি থানার পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করছে।

Birbhum News : লাগাতার ভাঙচুর-হেনস্থা-হুমকি! প্রাণভয়ে পুলিশের দ্বারস্থ ৪০ চিকিৎসক
জানা গিয়েছে, গত ৬ মাসের বেশি সময় ধরে কোচবিহার ধর্মতলা এলাকায় এক চেম্বার ভাড়া নিয়ে বিভিন্ন হাসপাতালের চিকিৎসকের সাইনবোর্ড লাগিয়ে রোগী দেখে আসছেন রতন চন্দ্র পাটোয়ারি। মূলত ভোর থেকে রোগী দেখেন। অধিকাংশ রোগী আসেন অসম থেকে। সকাল হতেই লাইন পড়ে যায় রোগীদের। কিন্তু স্থানীয়রা লক্ষ্য করেন বাইরে ডাক্তারের নাম ও তাঁর স্পেশালাইজেশন যাই থাকুক না কেন ভিতরে রোগী দেখেন একজন ব্যক্তিই। বেশ কয়েকমাস ধরেই এই অবস্থা চলতে থাকায় স্থানীয় বাসিন্দারা কাউন্সিলর শুভ্রাংশু সাহার দ্বারস্থ হন। এরপরই মঙ্গলবার সকালে ওই চিকিৎসকের চেম্বারে হাজির হয়ে কাগজপত্র খতিয়ে দেখতে চান। খবর দেওয়া হয় কোচবিহার সদর মহুকুমাশাসক ও পুলিশে। এরপর পুলিশ এসে তাকে থানায় নিয়ে যায়।

Calcutta National Medical College : ৪ লাখ দিলেই MBBS পাশ, প্রতি পেপারে ‘ফিক্সড রেট’! ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ তোলপাড়
স্থানীয় কাউন্সিলর শুভ্রাংশু সাহা বলেন, উনি আগে ১ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসা করতেন। সেখানকার একটা ভিডিয়ো আমার কাছে আসে। সেখানকার লোকেরা জানায়, ও ভুয়ো চিকিৎসক। এরপর এদিন গিয়ে জানতে চাইলে অন্যরকম কথাবার্তা বলতে থাকে। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। যদিও আটক ব্যক্তির দাবি, তিনি ভুয়ো চিকিৎসক নন। তার বৈধ কাগজপত্র রয়েছেন। তবে সেসব এখন তার কাছে নেই। তিনি নিউরো ফিজিশিয়ান। গত ৫-৬ বছর ধরে প্র‍্যাকটিস করছেন।

Government Hospital Services: জেলার সরকারি হাসপাতালে হাঁটু প্রতিস্থাপন থেকে হৃদযন্ত্রের কঠিন সমস্যার চিকিৎসা, ২৪ কোটি বরাদ্দ রাজ্যের
চিকিৎসক দেখাতে অসম থেকে আসা রোগী আব্দুল সামাদ বলেন, ‘টোটো চালকেরা তাদের নিয়ে আসে এই চিকিৎসকের কাছে। তারা ঠিকমতো চেনে না বা নাম শোনেনি।’ তবে কোচবিহার শহরের বুকে এধরনের ঘটনা ঘটে চলায় প্রশ্ন উঠছে স্বাস্থ্য দফতরের ভূমিকা নিয়ে। যদিও স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি।

প্রতি মুহূর্তের ব্রেকিং নিউজ, আপডেট, বিশ্লেষণ এবং ভিডিয়ো দেখতে ফলো করুন এই সময় ডিজিটাল চ্যানেল। ক্লিক: https://whatsapp.com/channel/0029Va9zh58Gk1Fko2WtDl1A



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version