বাংলাদেশে ১২ অক্টোবর থেকে ইলিশ ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তাই এই সময় ইলিশের সরবরাহ কমে যাবে। আর সেই কারণে ইলিশ রফতানির সময় আরও এক মাস বাড়ানোর জন্য আবেদন জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনারকে দেওয়া চিঠিতে ‘ফিস ইমপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন’-এর পক্ষ থেকে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়েছে , ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকার ৩৯৫০ মেট্রিকটন ইলিশ ভারতে আমদানির জন্য অনুমতি পেয়েছে। একই দিনে বাংলাদেশ সরকার ২২ দিনের জন্য ইলিশ ধরার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এই সময় ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত।
যেহেতু যে সময় ভারতে ইলিশ রফতানির জন্য নির্ধারিত করা হয়েছে তখন বাংলাদেশে ইলিশ ধরা থাকছে সেই কারণে এই সময় বর্ধিত করার আবেদন জানানো হল। ফিশ ইম্পোটার্স অ্যাসোসিয়েশনের সচিব মাসুদ সাহেব আরও জানান, যে সময় বাংলাদেশ থেকে ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ সেই সময় ইলিশের সাপ্লাই কমে যাবে বলে আমরা মনে করছি।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ইলিশ ভারতে রফতানি করার জন্য ৪০ দিন ধার্য করেছে। ২০১২ সালের পর এই সময়সীমা সর্বোচ্চ। পুজোর আগেই ভারতে পাঁচ হাজার টন ইলিশ ঢোকার কথা। বাংলাদেশের মৎস্য দফতরের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছিল এমনটাই।
বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছিল, দুর্গাপুজোর জন্য এই ইলিশ রফতানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। যদিও এর জন্য একাধিক শর্তও আরোপিত করা হয়েছে। কোন সংস্থার তরফে কত ইলিশ রফতানি করা হবে, তাও উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ঘরের বাজারে যাতে ইলিশের দাম আকাশছোঁয়া না হয় সেজন্য গত কয়েক বছর ধরেই ইলিশ রফতানির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বাংলাদেশের সরকার। যদিও পুজোর জন্য সেই নিষেধাজ্ঞা কিছুটা শিথিল করা হয়েছে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ থেকে ইলিশ এলে তা মূলত পাঁচটি বাজার লেক মার্কেট, গড়িয়াহাট, বেহালাবাজার, পাতিপুকুর এবং হাওড়া পাইকারি বাজারে আসে। এখন দেখার ভারতের আবেদনে সাড়া দিয়ে কি ইলিশ রফতানি করার সময়সীমা আরও বাড়াবে বাংলাদেশ?
প্রতি মুহূর্তের ব্রেকিং নিউজ, আপডেট, বিশ্লেষণ এবং ভিডিয়ো দেখতে ফলো করুন এই সময় ডিজিটাল চ্যানেল। ক্লিক: https://whatsapp.com/channel/0029Va9zh58Gk1Fko2WtDl1A