শহর কলকাতা বাংলার প্রধান শহর। তাই খুব স্বাভাবিকভাবেই এখানে সারা বছরই মানুষর মধ্যে থাকে কর্মব্যস্ততা। আর শুধু তাই নয়, কাজের দিনগুলিতে কলকাতার রাস্তায় যেন জনস্রোত নামে। বিভিন্ন প্রয়োজনে কলকাতায় আসেন মানুষ। পেশাগত হোক বা ব্যক্তিগত, ভোররাত থেকে রাতভর, কলকাতায় মানুষের ভিড়। আর এত বিপুল পরিমান মানুষের যাতায়াতের জন্য প্রয়োজন গণপরিবহণ। সেই কারণে রাস্তায় থাকে বাস, ট্যাক্সি, অটো বা অ্যাপ নির্ভর যানবাহন। যেহেতু প্রতিদিনই কলকাতার রাস্তায় এত যানবাহনের সমাগম, তাই খুব স্বাভাবিকভাবেই শহরের রাস্তায় যানজটও একটা চেনা ছবি।
এছাড়া কলকাতায় সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে রয়েছে মিটিং-মিছিল ও জমায়েতের ‘সংস্কৃতি’। অর্থাৎ কাজের দিন হোক বা ছুটির দিন, ব্যস্ত সময় হোক কিংবা দিনের সাধারণ সময়, মাঝেমধ্যেই কলকাতার বিভিন্ন রাস্তায় দেখা যায় মিটিং-মিছিল ও জমায়েত। ফলে অফিস টাইমে গন্তব্যে পৌঁছতে ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হয় মানুষকে। তাই সকালে কাজে বেরোনোর আগে রাস্তাঘাটের হালহকিকত জেনে নেওয়া জরুরি।
এই বিষয়ে লালবাজার ট্রাফিক কন্ট্রোল জানাচ্ছে, আজ সকাল থেকে এখনও পর্যন্ত কলকাতার যান চলাচল মোটের ওপর স্বাভাবিকই রয়েছে। কোথাও কোনও দুর্ঘটনার খবরও নেই। তবে আজও ২টি মিছিল ও জমায়েত রয়েছে। দুপুর ১২টা নাগাদ মহাজাতি সদনের সামনে একটি ধরনা রয়েছে। সেখান থেকে মিছিল করে ক্যামাক স্ট্রিটের দিকে যাবেন জমায়েতকারীরা। সেখানে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ জন থাকতে পারেন। পাশাপাশি ওই একই সময় রাজা সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে আরও একটি মিছিল রয়েছে, যেটি ওয়াই রোড পর্যন্ত যাবে। মিছিলে প্রায় ৫০০ থেকে ৬০০ মানুষ হাঁটবেন বলে জানাচ্ছে লালবাজার ট্রাফিক কন্ট্রোল।
যদিও সব ক্ষেত্রেই যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে তৎপর কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ। আর শুধু এই ক্ষেত্রেই নয়, সারা বছরই শহর কলকাতার যান চলাচল মসৃণ রাখতে তৎপর থাকেন ট্রাফিক পুলিশ কর্মীরা। পাশাপাশি দুর্ঘটনা এড়াতে মানুষকে সবসময় ট্রাফিক আইন মেনে চলাচলেরও পরামর্শ দেয় ট্রাফিক পুলিশ।