তবে সেটা সাময়িক না পাকাপাকি, তা সময়ই বলবে বলে জানাচ্ছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। যদিও সামগ্রিক ভাবে রাজ্য প্রশাসন মনে করছে, চড়াই পেরিয়ে আপাতত স্থিতাবস্থা বজায় রাখার দিকে এগোচ্ছে রাজ্যের ডেঙ্গি সংক্রমণ। স্বাস্থ্যভবনের একটি সূত্রের দাবি, গত চার সপ্তাহে (২০২৩-এর ৩৫, ৩৬, ৩৭ ও ৩৮তম সপ্তাহ) ডেঙ্গি আক্রান্তের যা হিসেবে মিলছে, তাতে ১৬টি পুরসভা এলাকাকে (বিধাননগর, দক্ষিণ দমদম, হাওড়া, উত্তর দমদম, শ্রীরামপুর, বালি, বরাহনগর, কামারহাটি, বারাসত, অশোকনগর-কল্যাণগড়, নৈহাটি, উত্তরপাড়া-কোতরং, রাজপুর-সোনারপুর, ব্যারাকপুর, পানিহাটি ও দমদম) অতি বিপজ্জনক বলে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এর মধ্যে ২১ সেপ্টেম্বর শেষ হওয়া বছরের ৩৮তম সপ্তাহে ৮টি পুরসভায় (হাওড়া, বরাহনগর, কামারহাটি, বারাসত, উত্তরপাড়া-কোতরং, রাজপুর-সোনারপুর, পানিহাটি, দমদম) ডেঙ্গির প্রকোপ বেড়েছে অনেকটাই। আবার ৮টি পুরসভায় (বিধাননগর, দক্ষিণ দমদম, উত্তর দমদম, শ্রীরামপুর, বালি, অশোকনগর-কল্যাণগড়, নৈহাটি, ব্যারাকপুর) কমেওছে সংক্রমণ।
এক স্বাস্থ্যকর্তা বলেন, ‘জনস্বাস্থ্য শাখার পরিসংখ্যান বলছে, ৩৫তম থেকে ৩৭তম সপ্তাহে এই ১৬টির প্রায় সবক’টি পুর এলাকাতেই ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ঊর্ধ্বমুখী। সেই নিরিখে ৩৮তম সপ্তাহে গিয়ে অর্ধেক পুর এলাকায় কিছুটা হলেও সংক্রমণের দাপট কমেছে।’ যদিও ৩৭তম সপ্তাহের তুলনায় ৩৮তম সপ্তাহে দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া ও হুগলিতে সংক্রমণ ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে যা নিয়ে চিন্তায় রয়েছে জেলা স্বাস্থ্য প্রশাসনের আধিকারিকরা।
স্বাস্থ্যকর্তারা জানাচ্ছেন, মুখ্যসচিবের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, প্রতিটি পুরসভাকে প্রতি দিন রিপোর্ট জমা করতে হবে। পুর-স্বাস্থ্যকর্মীদের রোজ অন্তত ৫০টি বাড়ি ভিজ়িট করতে হবে। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব নির্মীয়মাণ বাড়ি ও বহুতলের ছবি গুগল ফর্মে আপলোড করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে তাঁদের জন্য।
কেননা দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া ও হুগলি মিলিয়ে বেসরকারি মালিকানাধীন ‘বিপজ্জনক জায়গা’ চিহ্নিত হয়েছে ৪২,০৬০টি। পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের এক কর্তারা জানাচ্ছেন, প্রতিটি জায়গা চিহ্নিত করে নোটিস পাঠানো হয়েছে এক বা একাধিক বার। তাতেও না-শুধরোলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
ডেঙ্গির বৃদ্ধি জেলা ৮-১৪ সেপ্টেম্বর ১৫-২১ সেপ্টেম্বর
কলকাতা ৭৪২ ১০৫০, উত্তর ২৪ পরগনা ৬৯৯ ১১৬২, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ১৯ ৫৩, হাওড়া ২৪৯ ৪৩০