২ এবং ৩ অক্টোবর দুই দিন ধরেই রাজনৈতিক কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। ২ অক্টোবর দলের সাংসদ, বিধায়ক এবং পঞ্চায়েত সদস্যরা রাজঘাটে শান্তিপূর্ণ অবস্থান করতে চলেছেন। অন্যদিকে, ৩ অক্টোবর যন্তর মন্তরে প্রতিবাদ জানাবেন বাংলা থেকে যাওয়া ১০০ দিনের কর্মীরাও। এই যাবতীয় বিক্ষোভ কর্মসূচি লাইভ সম্প্রচারিত করা হবে।
২ তারিখ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান এবং অঞ্চল সভাপতিরা গান্ধীমূর্তিতে মাল্যদানের ব্যবস্থা করবেন। পাশাপাশি শান্তিপূর্ণভাবে মোমবাতি জ্বালানো বা মোমবাতি মিছিল করা হবে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, “২ অক্টোবর একটি শান্তিপূর্ণ অবস্থান করার জন্য একাধিকবার দিল্লি পুলিশের কাছে আবেদন করেছিলাম। সর্বত্র আমাদের অনুমতি দিতে অস্বীকার করেছে। কিন্তু, কোনও বাধাই কাজ করবে না। বাংলার মানুষের আন্দোলন এবং লড়াই করার অধিকার দিল্লির সরকার ছিনিয়ে নিতে চাইছে। জল দেব না, ঘর দেব না, প্রতিবাদ করার অধিকার দেব না।”
তিনি আরও বলেন, “ গতকাল রাতে আমাদের দলের তরফে যে বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল তা বাতিল করা হয়। সিকিউরিটি ডিপোজিট জমা নেওয়ার পরেও ট্রেন দিল না। প্রধানমন্ত্রী প্রতিদিন ট্রেন উদ্বোধন করছেন। কিন্তু, তাতে গরিব মানুষ যেতে পারবে না।” কেন্দ্রের কাছে বাংলার ১ লাখ ১৫ হাজার কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে বলেও দাবি করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় এজেন্সির তলব প্রসঙ্গে এদিন তিনি বলেন, “ED- CBI-কে দিয়ে চিঠি পাঠিয়ে তৃণমূলের মনোবল ভাঙা যাবে না। লড়াই আরও জোরাল হবে।”
পাশাপাশি দিল্লিতে কোনও সাধারণ মানুষের গায়ে হাত পড়লে গণতান্ত্রিক উপায়ে মানুষ তার জবাব দেবে বলে দাবি করেন অভিষেক।
প্রতি মুহূর্তের ব্রেকিং খবর দেশ, রাজ্য, দুনিয়ার তথ্য জেনে আপডেট থাকার জন্য ফলো করুন এই সময় ডিজিটাল চ্যানেল। ক্লিক:https://whatsapp.com/channel/0029Va9zh58Gk1Fko2WtDl1A