টানা বৃষ্টির জেরে হুগলি নদীর পাড়ে ধস। সঙ্কটের মুখে উলুবেড়িয়া পুরসভা এলাকার বাসিন্দারা। যদিও সেচ দফতরের তরফে নদী বাঁধ সংস্কারে কাজ শুরু হয়েছে। যে হারে বৃষ্টি হয়ে চলছে তাতে দুঃশ্চিন্তায় রয়েছেন এ লকার বাসিন্দারা।

Howrah Water Supply: পাম্প মেরামতি কারণে শুক্রবার দিনভর জল সরবরাহ বন্ধ হাওড়ায়, নোটিশ পুরসভার
কী জানা যাচ্ছে?

উলুবেড়িয়া পুরসভার ২৪ নং ওয়ার্ডের জগদীশপুরের হুগলি নদীর পাড়ের বাঁধের ভাঙন অব্যাহত। নিম্নচাপের প্রভাবে নতুন করে ৫০ মিটার বসে যাওয়ায় নতুন করে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে বাসিন্দাদের মধ্যে। ইতিমধ্যে সেচ দফতরের পক্ষ থেকে নদীর বাঁধ মেরামেতর কাজ শুরু করলেও যেভাবে নদী বাঁধের ভাঙন আটকানো নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা।

Howrah News Today : বাসন তৈরি কারখানায় বয়লার ফেটে বিপত্তি, হাওড়ায় গুরুতর আহত ৩ শ্রমিক
স্থানীয়রা কী জানাচ্ছেন?

স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, বছর দেড়েক আগে জগদীশপুর বাঁশতলা এলাকায় হুগলি নদীর বাঁধে প্রায় ৫০ মিটার এলাকা জুড়ে ধস নেমেছিল। সেই সময় সেচ দফতরের পক্ষ থেকে মাটির বস্তা, ইটের টুকরো ফেলে বাঁধ মেরামত করা হয়েছিল। কিন্তু তাতেও সমস্যার সমাধান হয়নি। নিয়মিত ভাঙন অব্যাহত। এর উপরে সম্প্রতি নতুন করে প্রায় ৫০ মিটার নদী বাঁধে ধস দেখা দেওয়ায় আতঙ্ক আরোও বড়িয়েছে বাসিন্দাদের মধ্যে।

Garchumuk Tour: গাদিয়ারা ও গড়চুমুকে হোটেল-হোম স্টেতে পরিচ্ছন্নতা রক্ষায় বিশেষ ব্যবস্থা, নিয়ম না মানলে আইনি পদক্ষেপ
আতঙ্ক বাড়ছে এলাকাবাসীর

ধসের কারণে নদীর পাড়ের ঢালাই রাস্তায় ফাটল দেখা দিয়েছে। রাস্তার নীচের অংশের মাটি সরে গিয়ে গর্তের সষ্টি হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, যেভাবে ধস নামছে এবং রাস্তার নীচ থেকে মাটি সরে যাচ্ছে তাতে আগামীদিনে বড়সড় বিপর্যয় অবশম্ভাবী। দ্রুত বাঁধ সংস্কার না হলে সমস্যার মুখে পড়তে হবে বিস্তীর্ণ অঞ্চলের বাসিন্দাদের। স্থানীয় বাসিন্দা সেখ রেজাউল অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন ধরেই এই নদী বাঁধ ভাঙন রোধে কাজ চলছে। কিন্তু কোনওভাবেই ভাঙন রোধ করা সম্ভব হচ্ছেনা।

ডেঙ্গির বিপদ! জমা জল সরেনি দেড়মাসেও! পথ অবরােধ!

কী বলছে সেচ দফতর

সেচ দফতরের এক কর্তা জানান, বিষয়টি নজরে আসার পরেই দ্রুত বাঁধ মেরামেতর কাজ শুরু হয়েছে। সেচ দফতর সূত্রে খবর পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী বুধবার পর্যন্ত মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হবে দক্ষিণবঙ্গের জেলা গুলিতে। স্বাভাবিক ভাবেই, সোমবারের পর বৃষ্টি চলতে থাকলে নদী বাঁধ ধসের পরিমাণ আরও বাড়তে থাকবে বলেই আশঙ্কা বাসিন্দাদের।

সমস্ত খবর প্রতি মুহূর্তে আপডেট পেতে ফলো করুন এই সময় ডিজিটাল চ্যানেল। ক্লিক: https://whatsapp.com/channel/0029Va9zh58Gk1Fko2WtDl1A



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version