একদিকে দক্ষিণবঙ্গে লাগাতার বর্ষণ, অন্যদিকে ঝাড়খণ্ডে ব্যপক বৃষ্টি, এর ফলে দামোদর জলাধার থেকে ক্রমাগত জল ছাড়ায় নদের জলস্তর অনেকটাই বেড়েছে। ব্লক থেকে জেলাস্তরে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। দামোদর নদ তীরবর্তী গ্রামগুলোতে জল ছাড়ার সর্তকবার্তা জানিয়ে করা হচ্ছে মাইকিং। এদিকে ডিভিসি থেকে ক্রমাগত জল ছাড়ার ফলে দামোদরের জলস্তর অনেকটা বেড়ে যাওয়ায় সেচ দফতরের ইঞ্জনিয়ারদের নদীবাঁধ পরিদর্শনের নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক। বাঁধে কোনও সমস্যা থাকলে তা দ্রুত মেরামতের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে মঙ্গলবারই গলসী ১ নম্বর ব্লকের লোয়া রামগোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগে দামোদর নদ তীরবর্তী গ্রামগুলিকে ডিভিসি থেকে জল ছাড়ার বিষয়ে সর্তক করে মাইকিং শুরু হয়েছে। পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে আপদকালীন অবস্থার জন্য ২টি স্কুলও তৈরি রাখা হয়েছে। পাশাপাশি যে কোনও প্রয়োজনে পঞ্চায়েত প্রধানের সঙ্গে যোগাযোগ করতেও বলা হয়েছে। এই বিষয়ে জেলা থেকে ২টি কন্ট্রোল রুমও খোলা হয়েছে। কন্ট্রোল রুমের নম্বরগুলি হল, 8001192640, 0342-2665092।
পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি জানিয়েছেন, দামোদরের জলাধারগুলির আপার ক্যাচমেন্ট এলাকার বৃষ্টির দিকে নজর রাখা হচ্ছে। এছাড়াও জেলার দামোদর তীরবর্তী সমস্ত ব্লকগুলিকে সতর্ক করা হয়েছে। সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা হিসাবে একাধিক ফেরিঘাট সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে,খন্ডঘোষের জুবিলা গ্রামে মাঠে গবাদী পশুর জন্য ঘাস কাটতে গিয়ে বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয়েছে একজনের, নাম বাসুদেব সাঁতরা।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার থেকেই জল ছাড়া শুরু করেছে ডিভিসি কর্তৃপক্ষ। জল ছাড়া হচ্ছে মাইথন, পাঞ্চেত, দুর্গাপুরের মতো ব্যারেজগুলি থেকে। যার ফলে হাওড়া, হুগলি, বাঁকুড়া, দুই বর্ধমানে প্লাবনের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ফলে ইতিমধ্যেই তৎপর হয়েছে প্রশাসন। বাঁকুড়াতেও দামোদার তীরবর্তী গ্রামগুলিতে মানুষজনকে সতর্ক থাকার কথা বলা হয়েছে। করা হয়েছে মাইকিংও। আর শুধু জেলা হয়, লাগাতার বৃষ্টিতে জল জমেছে শহর কলকাতার বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাতেও।
বৃষ্টি সংক্রান্ত যে কোনও খবরের জন্য ফলো করুন এই সময়ে ডিজিটাল চ্যানেল। ক্লিক: https://whatsapp.com/channel/0029Va9zh58Gk1Fko2WtDl1A