পুজোর আর মাত্র কয়েক দিন বাকি৷ পর্যটনের ভাষায় এখন ‘পিক সিজন’৷ উত্তরবঙ্গের অধিকাংশ টুর অপারেটর থেকে শুরু করে গাড়ি চালকের রুটিরুজি সিকিমের পর্যটনের সঙ্গে জড়িত। কিন্তু পুজোর আগেই এভাবে হড়পা বানে সিকিমের সঙ্গে বাংলার যোগাযোগ কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় তাদের মনে এখন আশঙ্কার কালো মেঘ জমাট বেঁধেছে। ফলে পর্যটকেরা কীভাবে সিকিমে যাবেন তা নিয়েও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে৷
এর আগেও সিকিমে ধস, বন্যা পরিস্থিতির জেরে একের পর এক টুর বাতিল করেছেন পর্যটকরা। বুধবার সকাল থেকে এই অবস্থায় ভ্রমণের প্ল্যান বাতিল হওয়া যে সময়ের অপেক্ষা, তা মানছেন টুর অপারেটররা৷ তবে পরিস্থিতির আরও অবনতি হলে কী হবে, সেটাই ভাবছেন সকলে৷
হিমালয়ান হসপিট্যালিটি অ্যাণ্ড টুরিজম ডেভেলপমেণ্টের সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, ‘সকাল থেকে প্রচুর পর্যটক ফোন করছেন আমাদের৷ সকলেই খোজ নিচ্ছেন৷ টুর বাতিল করার কথাও ভাবছেন অনেক পর্যটক৷ তবে পরিস্থিতি দেখে কয়েকদিনের মধ্যেই বোঝা সম্ভব হবে যে আদৌ টুর বাতিল করতে হবে কি না। কিন্তু পর্যটন ব্যবসায় ব্যাপক ক্ষতি হল তা বলার অপেক্ষা রাখে না৷’
পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে জড়িতদের দাবি, এখন সিকিমে পর্যটকদের সংখ্যা কম থাকলেও আগামী সপ্তাহ থেকে সেই সংখ্যা বাড়তে থাকবে৷ প্রত্যেক বছর পুজোর সময় ও পরে সিকিমের বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটকদের ব্যাপক ভিড় হয়। ফলে রাস্তা মেরামতের কাজ দ্রুত শেষ না হলে পর্যটন ব্যবসাতেও ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে বলে মনে করছেন টুর অপারেটরা৷
অন্যদিকে হড়পা বানের ফলে ভেসে গিয়েছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের একাংশ। বুধবার সকাল থেকেই দশ নম্বর জাতীয় সড়ক বন্ধ৷ ফলে শিলিগুড়ি থেকে সিকিমের দিকে যাওয়া যাচ্ছে। সিকিম পৌঁছতে হলে ঘুরপথে যেতে হবে। সেই কারণে ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছেন গাড়ি চালকরাও।