পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিশেষ ‘সোর্স’ মারফত খবর আসে। তার ভিত্তিতে সাব ইনস্পেক্টর সোমনাথ সিংহ রায়ের নেতৃ্ত্বে লেক থানা এলাকা অভিযান চালায় সাইবার ক্রাইম পুলিশ। সেই অভিযানের ভিত্তিতে শুভদীপ ও সমীরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের জেরা করে এই সংক্রান্ত আরও তথ্য জানার চেষ্টা করা হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, টেলিগ্রামে রোজগারের টোপ দিয়ে বিরাট প্রতারণার ফাঁদ পেতেছিল ধৃতরা। সাইবার প্রতারণার শিকারদের নিয়ে প্রথমে টেলিগ্রামে একটি গ্রুপ তৈরি করা হয়। সেখানে বিভিন্ন ইউটিউব ভিডিয়োর লিঙ্ক দিয়ে তা লাইক করতে বলা হয়। লাইক করলে টাকা দেওয়ার প্রলোভন দেখানো হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে প্রতারিতরা টাকাও পেয়েছিলেন। পরবর্তীকালে তাঁদের একটি ট্রেডিং অ্যাপ মারফত বিনিয়োগ করতে বলা হয়। সেই ট্রেডিং অ্যাপে বিনিয়োগ করে সর্বস্বান্ত হয়েছেন অনেকে। সব মিলিয়ে তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ২৮ লাখ টাকা গায়েব করে দেওয়া হয়েছে। বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় একাধিক অভিযোগ দায়ের করা হয়। তার ভিত্তিতেই এই গ্রেফতারি বলে জানা গিয়েছে।
বিধাননগর পুলিশের তরফে সাংবাদিক বৈঠক করে আগেই টেলিগ্রাম ব্যবহারের বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছিল। অতিরিক্ত কমিশনার চারু শর্মা এই নিয়ে সতর্ক করেন। বিধাননগর পুলিশের তরফে সাংবাদিক বৈঠক করে টেলিগ্রামে কোনও অজানা নম্বর থেকে আসা লিঙ্কে ক্লিক না করার আবেদন করা হয়েছিল। একই সঙ্গে জানানো হয়, টেলিগ্রাম মারফত স্টক মার্কেট বা মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করা যায় না। মোটা রিটার্নের প্রলোভন দেখিয়ে কেউ বিনিয়োগ করতে বললে, তার পিছনে প্রতারণার ফাঁদ থাকতে পারে বলে সতর্ক করা হয়।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে একের পর আধার প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে। আধার কার্ডে ব্যবহার করা বায়োমেট্রিক ক্লোন করে প্রচুর টাকা উধাওয়ের ঘটনা ঘটেছে। একের পর এক প্রতারণার খবর সামনে আসার পর গ্রাহকদের আধারের বায়োমেট্রিক তথ্য লক করার পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ।
সব খবর জানুন হোয়াটসঅ্যাপে। জয়েন করুন এই সময় ডিজিটালের চ্যানেল। রইল লিঙ্ক : https://whatsapp.com/channel/0029Va9zh58Gk1Fko2WtDl1A