কী জানা যাচ্ছে?
তিস্তা নদীতে জল বেড়ে যাওয়ায় নদীর মাঝে গড়ে ওঠা ফকতের চরের কয়েকশো বাসিন্দাকে উদ্ধার করে স্থানীয় স্কুলে নিয়ে আসা হয়। বৃহস্পতিবার স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের নিয়ে সেই ত্রাণ যান কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ও স্থানীয় বিধায়ক পরেশ অধিকারী। শিবিরে গিয়ে বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
কী জানালেন পুর চেয়ারম্যান?
রবীন্দ্রনাথ ঘোষ জানান, ফকতের চরে ১০৭ টি পরিবার রয়েছে। তাঁদেরকে উদ্ধার করে এই স্কুলে নিয়ে আসা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর নির্দেশে তিনি এসেছেন। আশ্রয় নেওয়া বাসিন্দাদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে। অন্যদিকে, মেখলিগঞ্জের বিধায়ক পরেশ অধিকারী বলেন, নদীর জল কিছুটা কমে যাওয়ায় তারা বাড়ি ফিরে যেতে চাইছেন। কিন্তু আমরা বলেছি আজকে তাঁদের এই শিবিরে থেকে যাতে। তাঁদের দুবেলা খাবার দেওয়ার পাশাপাশি শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয়রা কী জানাচ্ছেন?
ত্রাণ শিবিরের বন্দোবস্ত নিয়ে কোনও অভিযোগ নেই স্থানীয় বাসিন্দাদের। তবে ত্রাণ শিবির নিয়ে তেমন কোনও অভিযোগ না থাকলেও বাসিন্দারা জানান, বন্যায় তাঁদের বাড়িঘরের প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। জল নেমে গেলে সে সব সারানোর ব্যবস্থা করে দিক। এদিকে তিস্তা নদীর জল নদী তীরবর্তী যেসব গ্রামে ঢুকেছে সেসব এলাকায় ঘুরে দেখেন জন প্রতিনিধিরা।
দুর্গতদের জন্য ত্রাণ শিবির
নবান্ন সূত্রে খবর, সিকিমে ধসের পর তিস্তার জল বৃদ্ধি এবং সর্বোপরি উত্তরবঙ্গ জুড়ে ব্যাপক বৃষ্টিপাতের কারণে উত্তরবঙ্গের চারটি জেলায় ইতিমধ্যেই ২৮টি সরকারি আশ্রয় শিবির খোলা হয়েছে। এর মধ্যে কোচবিহার জেলায় ৮ টি শিবির খোলা হয়। অন্যদিকে, জল নামতেই মেখলিগঞ্জের তিস্তা নদী থেকে বৃহস্পতিবার সকালে এক মহিলা সহ তিনজনের দেহ উদ্ধার করা হয়। হলদিবাড়ির নিজতরফ চড়ে একটি পুরুষের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে আবহাওয়া দফতরের খবর অনুযায়ী, এখনও উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
নতুন খবরের জন্য এই সময় ডিজিটাল হোয়াটস্যাপ চ্যানেল। ক্লিক: https://whatsapp.com/channel/0029Va9zh58Gk1Fko2WtDl1A