সেখানে ওই অফিসার তাঁর পুরোনো দফতরের আলমারি খুলে ফাইল সরাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ। কিন্তু সেচ দফতরের লোকেরা ওই অফিসারকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন কংসাবতী সার্কলের সুপারিন্টেন্ডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার। ওই অফিসারকে জেরা করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট থানায় বিষয়টি জানানো হতে পারে বলে সূত্রের খবর।
কংসাবতী সার্কলের রেভিনিউ ডিভিশন (১)-এ দীর্ঘ দিন কর্মরত ছিলেন অভিযুক্ত ওই রেভিনিউ অফিসার। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। সেচ দফতরের সচিবের নির্দেশে শুরু হয় বিভাগীয় তদন্ত। তদন্তে প্রভাব পড়তে পারে বলে ওই অফিসারকে বদলি করা হয় বর্ধমান ডিভিশনে। অভিযোগ, বর্ধমানে আসার সময়ে অফিসের চার্জ হ্যান্ডওভার করেননি তিনি।
এদিন পুরোনো অফিসে গিয়ে বর্তমান রেভিনিউ অফিসারের অনুপস্থিতির সুযোগে আলমারি খুলে গাড়ির লগবুক, বালি সংক্রান্ত ফাইল তাঁর সঙ্গে থাকা গাড়িতে তুলতে থাকেন অভিযুক্ত অফিসার। তখনই ধরা পড়ে যান তিনি। সেচ দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ‘একটা লোকের কত সাহস থাকলে এ ভাবে এক ডিভিশন থেকে অন্য ডিভিশনে এসে ফাইল সরানোর চেষ্টা করতে পারেন তা ভেবে অবাক হয়ে যাচ্ছি। এই ধরনের লোকেদের জেলে থাকা উচিত। এঁরা সরকারি অফিসার হওয়ার যোগ্য নন।’
ওই অফিসারের বিরুদ্ধে গাড়ির ভুয়ো বিল তৈরি করে প্রতি মাসে কয়েক হাজার টাকা প্রতারণার অভিযোগও জমা পড়ে পূর্ব বর্ধমানের পূর্বতন জেলাশাসকের কাছে। কিন্ত ওই জেলাশাসক কোনও ব্যবস্থা নেননি বলে জানা গিয়েছে। সেচ দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি প্রভাত কুমার মিশ্র বলেন, ‘কী ঘটেছে তা খোঁজ নিয়ে দেখছি।’