হিন্দমোটরের বন্ধ কারখানার চত্বর থেকে এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য। অজ্ঞাত পরিচয়ের যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার নিয়ে আতঙ্কে স্থানীয়রা। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। বন্ধ কারখানায় ওই ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে, নাকি অন্য কোনও জায়গা থেকে এনে দেহ ফেলে দেওয়া হয়েছে, সে ব্যাপারে তদন্ত শুরু হয়েছে।

Chandannagar Museum : বৈপ্লবিক থিমে নির্মাণ নতুন সংগ্রহশালার, অভিনব উদ্যোগ চন্দননগর কলেজে
কী জানা যাচ্ছে?

শনিবার সকালে প্রাতঃভবনে বেরিয়ে এলাকার মানুষ দেখতে পান একটি নিকাশি ড্রেনে যুবকের দেহ পড়ে রয়েছে। খবর দেওয়া হয় উত্তরপাড়া থানায়। পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে ময়নতদন্তের জন্য নিয়ে যায়। ঠিক কী কারণে মৃত্যু হল যুবকের তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। মৃত যুবক অজ্ঞাত পরিচয় বলে জানায় পুলিশ। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।

Hooghly News : আবাসে ঘর না মেলার অভিযোগ, মাটির দেওয়াল ধসে এবার মৃত্যু হুগলিতে
স্থানীয়রা কী জানাচ্ছেন?

এলাকার মানুষের অভিযোগ, রাত বাড়লেই অসামাজিক কাজ বাড়ে ওই এলাকায়। বন্ধ কারখানা চত্বরে মানুষের যাতায়াত থাকলেও আলোর ব্যবস্থা না থাকায় সমাজ বিরোধীদের আড্ডা হয়। এনিয়ে পুলিশ প্রশাসনকে জানানো হয় স্থানীয়দের পক্ষ থেকে। দুষ্কৃতীদের ঠেকে পরিণত হয়েছে এই এলাকায়। এবার মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় আরও ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা।

Hooghly Flood News : জলে ভাসছে খানাকুল, গোঘাটে ভেঙে পড়ল পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়ির দেওয়াল! আতঙ্ক বাড়ছে হুগলিতে
বিজেপির কী দাবি?

হিন্দমোটর এলাকার বিজেপি নেতা স্থানীয় বাসিন্দা পঙ্কজ রায়ের অভিযোগ প্রশাসন সতর্ক না হলে অসামাজিক কাজ বন্ধ হবে না। পুলিশ টহল বাড়ানোর দাবি করেন তিনি। ঘটনার সঠিক তদন্ত করে দোষীদের চিহ্নিত করা হোক, দাবি জানিয়েছে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব।

তৃণমূল কী বলছে?

অন্যদিকে, তৃণমূলের উত্তরপাড়ার কাউন্সিলর ইন্দ্রজিৎ ঘোষ মেনে নেন যে উত্তরপাড়া এলাকাই দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম বাড়ছে। গত কয়েক মাসে বেশ কয়েকটি ছিনতাই-এর ঘটনা ঘটেছে। তৃণমূল কাউন্সিলর বলেন, ‘সন্ধ্যা নামলেই নেশাখোরদের অঞ্চলে পরিণত হয় হিন্দমোটর কারখানা এলাকা।’ পুলিশের বাইক পেট্টোলিং বাড়াতে বলেন তিনিও।

চাকরির টোপ দিয়ে প্রতারণা! পুলিশি তৎপরতায় টাকা ফেরত

হিন্দমোটরের কারখানা

হুগলি জেলার হিন্দমোটরের কারখানায় ২০১৪ সালে সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিশ ঝোলানো হয়। এরপর থেকেই কাজ বন্ধ হয়ে যায় বন্ধ হয়ে যায় কারখানায়। কারখানায় মোট প্রায় ২৩০০ শ্রমিক কর্মরত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। শ্রমিকরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন, প্রতিবাদ করলেও কারখানার গেট খোলেনি। পরে রাজ্য সরকার সেই জমি অধিগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত করবে বলে জানায়। হাইকোর্ট ২০১৩ সালে নতুন আইন মেনে জমি অধিগ্রহণের নির্দেশ দেয়।

তাজা খবরের আপডেট পেতে এই সময় ডিজিটাল হোয়াটস্যাপ চ্যানেল। ক্লিক: https://whatsapp.com/channel/0029Va9zh58Gk1Fko2WtDl1A



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version