কী জানা যাচ্ছে ?
সোদপুর নাটাগর এলাকার বাসিন্দা পলাশ দাশ পাটনার এক বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত। গত শনিবার বেলঘরিয়ার এক বন্ধুর সঙ্গে সিকিমে ঘুরতে যায় পলাশ। প্রাকৃতিক দুর্যোগে সিকিমের সঙ্গে সমস্ত রাজ্যের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। সিকিমে বেড়াতে গিয়ে তারপর থেকে কোনও সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না পলাশের বলে জানা যাচ্ছে।
পরিবার কী বলছে?
গত মঙ্গলবার শেষ বারের মতো মায়ের সঙ্গে ফোনে কথা হয় পলাশের। তারপর থেকে পলাশের আর কোনও খোঁজ খবর পাচ্ছে না পরিবারের লোকজন। পলাশকে ফোন করলে কোন রকম ফোন লাগছে না পলাশের। পলাশের বাবা পার্থপুর দাস বাজারে সবজি বিক্রি করেন। পলাশের কোনও খোজ খবর না পাওয়ায় চরম উৎকন্ঠায় দিন কাটাচ্ছে পলাশের পরিবারের লোকজন। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন পলাশের মা। রাজ্য প্রশাসন ও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পলাশের পরিবারের অনুরোধ যদি পলাশের কোনওরকম খোঁজ খবর তারা করে দিতে পারে।
যুবকের ভাই কী বলছেন?
যুবকের ভাই রবীন দে জানান, ও যেখানে কাজ করতো, কর্মসূত্রে কয়েকজন অফিসের বন্ধুর সঙ্গে সিকিম ঘুরতে যায়। মঙ্গলবারের পর থেকে আমাদের পরিবারের কারও সঙ্গে ওঁর কোনও যোগাযোগ নেই। ওঁকে ফোনেও পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা সকলেই খুব উৎকন্ঠায় রয়েছি।
সিকিমে বিপর্যয়
সিকিমে হড়পা বান এবং ধসের কারণে গোটা রাজ্যের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে রাস্তাঘাট। সিকিম সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, মোট ২৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। জোরকদমে উদ্ধারকার্য চালাচ্ছে সেনা, এনডিআরএফ। ১৪২ জন পর্যটক নিখোঁজ হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে। সিকিমে আটকে পড়া পর্যটকদের সব রকমের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে সিকিম প্রশাসনের তরফে। পাশাপাশি, রাজ্যের তরফেও পর্যটকদের উদ্ধারের ব্যাপারে সব রকম সাহায্য করা হচ্ছে বলে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে।
নতুন খবর সর্বাগ্রে পেতে এই সময় ডিজিটাল হোয়াটস্যাপ চ্যানেল। ক্লিক: https://whatsapp.com/channel/0029Va9zh58Gk1Fko2WtDl1A