রবিবার সন্ধ্যায় উত্তরবঙ্গ থেকে কলকাতায় ফেরেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। গত ৩ অক্টোবর বিকেলে কলকাতা থেকে কোচির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। তারপর সেখান থেকে দিল্লি, এবং দিল্লি থেকে উত্তরবঙ্গের বন্যা বিধ্বস্ত অঞ্চল পরিদর্শনে যান সি ভি আনন্দ বোস। তৃণমূলের তিন সদস্য প্রতিনিধি দলের সঙ্গেও উত্তরবঙ্গেই সাক্ষাৎ করেন তিনি। এদিকে তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন যতদিন না রাজ্যপাল রাজভবনে তাঁদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন, ততদিন চলবে ধরনা।
এর আগে শনিবার উত্তরবঙ্গে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেব তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যের মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার। সাক্ষাৎ সেরে বেরিয়ে বিস্ফোরক দাবি করেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তৃণমূল সাংসদ দাবি করেন, রাজ্যপাল আন্তরিকভাবে মেনে নিয়েছেন যে কেন্দ্রীয় প্রকল্পে আর্থিক বঞ্চিনার দাবিগুলি ন্যায্য এবং যুক্তিসঙ্গত। বিষয়টি নিয়ে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিলেও রাজনৈতিক চাপের কাছে তিনি অসহায় বলে নাকি জানিয়েছেন সি ভি আন্দ বোস। যদিও মহুয়ার ওই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে রাজভবন বা রাজ্যপালের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি।
প্রসঙ্গত, দিল্লিতে কৃষি ভবনের ঘটনার পরেই রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করার জন্য ‘রাজভবন চলো’র ডাক দেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গত বৃহস্পতিবার ছিল তৃণমূলের সেই রাজভবন অভিযান। কিন্তু সেই দিন রাজভবনে ছিলেন তা বোস। বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে উত্তরবঙ্গে ছিলেন তিনি। আর রাজ্যপাল না থাকায় তাঁর সঙ্গে দেখা করার দানি নিয়ে ধরনা অবস্থানের ঘোষণা করেন অভিষেক। তারপর থেকে লাগাতার চলতে থাকে তৃণমূলের ধরনা কর্মসূচি।
বিস্তারিত আসছে…