সাইবার প্রতারণা অভিযোগ
তবে সাম্প্রতিককালে দার্জিলিংয়ে বেড়াতে গিয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে পর্যটকদের। উঠছে সাইবার প্রতারণার অভিযোগ। পর্যটকদের অনেকেই অভিযোগ করছেন, অনেকেই অনলাইনে হোটেল বুক করে অগ্রিম টাকা জমা দেওয়ার পরে জানতে পারছেন আদতে তাঁদের নামে কোনও বুকিংই হয়নি। ফলে একদিকে যেমন আর্থিকভাবে পর্যটকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, অন্যদিকে তেমনই দার্জিলিং বেড়াতে গিয়েও হয়রানির মুখে পড়তে হচ্ছে এই তাঁদের। এই পরিস্থিতে পর্যটকদের প্রতারণার হাত থেকে বাঁচাতে বিশেষ উদ্যোগ দার্জিলিং পুলিশের।
হোটেল ও হোম স্টে-র তালিকা
দার্জিলিংয়ের অথেন্টিক হোটেল ও হোম স্টে-র তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে দার্জিলিং জেলা পুলিশের তরফে। হোটেল ও হোমস্টে মিলিয়ে মোট ১,২৯৩টি পর্যটক নিবাসের উল্লেখ করা হয়েছে ওই তালিকায়। সেগুলির নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর, ইমেল আইডি, ওয়েবসাইট এবং স্থানীয় থানার নাম উল্লেখ করা হয়েছে ওই তালিকাতে।
কিউআর কোড চালুর উদ্যোগ
এখানেই শেষ হয়, সাইবার প্রতারণার কথা মাথায় রেখে বিশেষ কিউআর কোড চালুর পদক্ষেপও করেছে দার্জিলিং পুলিশ। জানা গিয়েছে, ওই কিউআর কোড যে সব পর্যটকরা স্ক্যান করবেন তাঁদের মুঠোয় চলে আসবে দার্জিলিংয়ের সমস্ত হোম স্টে, লজ ও হোটেল। উপরোক্ত ১,২৯৩টি থাকার জায়গা ও সেগুলির যোগাযোগের খুঁটিনাটি তথ্য মিলবে ওই কিউআর কোড স্ক্যান করেই। ওই কিউআর কোড স্ক্যানের মাধ্যমে যদি কোনও পর্যটক বুকিং করেন, তাহলে তাঁর প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই থাকবে না বলেই পুলিশ সূত্রে দাবি করা হয়েছে। ফলে এবার আরও নিশ্চিন্তে পাহাড় ভ্রমণ করতে যেতে পারবেন পর্যটকরা।
যা জানাচ্ছে পুলিশ…
এই বিষয়ে দার্জিলিংয়ের পুলিশ সুপার প্রবীণ প্রকাশ জানান, এই কিউআর কোড চালু করার আগে এলাকার হোটেল অ্যাসোসিয়েশনকে নিয়ে বৈঠকে বসেছিল পুলিশ। তারপরেই এই পরিষেবা চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় পুলিশের তরফে। তিনি আরও জানান, কিউআর কোড স্ক্যান করার পর পুলিশের একটি পেজ খুলবে। সেখানেই দার্জিলিংয়ের যাবতীয় পর্যটক নিবাসের বিষয়ে জানা যাবে।
পুজোর ভ্রমণ নিয়ে আরও জানতে এখনই ফলো করুন এই সময় ডিজিটাল চ্যানেল। শুধু ক্লিক করুন এখানে।