এই সময়, শিলিগুড়ি: ক্রমশ ফাঁকা হতে শুরু করেছে উত্তর সিকিমের লাচুং এবং লাচেন। এদিন সকাল থেকেই সেনাকর্মীরা দফায় দফায় পর্যটকদের লাচুং এবং লাচেন থেকে হেলিকপ্টারে পাকিয়ং এবং মঙ্গনে উড়িয়ে আনেন। সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন মোট ২৭৯ জন পর্যটককে হেলিকপ্টারে আনা হয়েছে। ফলে এখন দু’ জায়গায় আটকে থাকা পর্যটকের সংখ্যা সাড়ে তিনশোর বেশি নয়।

হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, ‘খুব বেশি পর্যটক আর উত্তর সিকিমে নেই। কেননা, অনেকেই হেঁটে চলে আসছেন। আবহাওয়া ঠিক থাকলে হয়তো শুক্রবারের মধ্যেই সমস্ত পর্যটক গ্যাংটকে ফিরতে পারবেন।’

Sikkim Flood : ‘হিরো’ সেনা-জওয়ানদের প্রশংসায় মুখর পর্যটকরা
পর্যটকদের মতোই সিকিম সরকারের এখন মাথাব্যথা সিকিমের প্রত্যন্ত গ্রামে ত্রাণ পৌঁছনো। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় বহু গ্রামের বাসিন্দারাই বিপাকে পড়েছেন। ওই সমস্ত গ্রামে জিপ লাইন তৈরি করে ত্রাণ পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। উত্তর সিকিমের ডিকচুর বিধায়ক পিন্টু নামগিয়াল লেপচা বলেন, ‘আমার এলাকায় আটটি গ্রাম এখনও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। যোগাযোগ তৈরির চেষ্টা চলছে।’

লাচুংয়ে মোবাইলের পাশাপাশি ইন্টারনেট সংযোগও ফিরে এসেছে। লাচেনে যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। উদ্ধার কাজে সবচেয়ে হতাশাজনক পরিস্থিতি লাচেনে। সেখানে এখনও বিদ্যুৎ নেই। সেতু ভেঙে পড়ায় যোগাযোগ দুর্গম। খাবার সীমিত। এখনও বেশ কিছু পর্যটক আটকে। সেনাদের হেলিকপ্টারই একমাত্র ভরসা।

লাচেনের বাসিন্দা সাঙ্ঘু লেচপা বলেছেন, ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরে ন’দিন কেটে গেলেও এখনও পরিস্থিতি স্বাভাবিক নয়। প্রশাসনের কাছে অনুরোধ দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।’ সিকিম রাজ্য প্রশাসনের তরফে এদিনও চুঙথাঙ থেকে উত্তর সিকিমের বিভিন্ন গ্রামে যোগাযোগ তৈরির উপরেই জোর দেওয়া হয়।

Sikkim Airlift : দুর্যোগে আটকে হাজার হাজার পর্যটক, উদ্ধারে এয়ারলিফ্ট শুরু সিকিমে
লাচেনে খাবার এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যদের পাঠানো হয়েছে। বিদ্যুৎ ও মোবাইল সংযোগ পুনরায় স্থাপনের কাজ চলছে। সেনারা জানিয়েছে, লাচেনে এখন ২৭৩ জন পর্যটক আটকে আছে। লাচুংয়ে ৬৭ জন। আজ, শুক্রবার তাঁদের ফেরানো চেষ্টা হবে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version