মমতা বলেন, ‘একডালিয়া এভারগ্রিনের পুজোর উদ্বোধনে আমি প্রথমে সুব্রতদাকে প্রণাম জানাই। সুব্রতদাকে কোনওভাবেই ভুলতে পারব না। এত হাসিখুশি একটা মানুষ! প্রত্যেকবার আমাকে বলত কী রে এবার আমাকে ডেটটা দে! প্রত্যেকবার সুব্রতদা আমাকে ফুল, শাড়ি উপহার দিত।’ সুব্রতর মৃত্যু নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করেন মমতা। তিনি বলেন, ‘খুব গাফিলতি করে মানুষটাকে মেরে দিল।’ তবে কার দিকে ইঙ্গিত মমতার, তা স্পষ্ট করে বোঝা যায়নি।
মুখ্যমন্ত্রীর মুখে এদিন উঠে আসে প্রয়াত নেতা স্ত্রী ছন্দবাণী মুখোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গে। তাঁকে বউদি বলে সম্বোধন করে স্থানীয়দের তাঁকে ঠিক করে দেখে শুনে রাখার অনুরোধ করেন তিনি। মমতা আরও বলেন, ‘একডালিয়ার পুজো ঐতিহ্যবাহী পুজো। ঐতিহ্য কখনও পরিবর্তন হয় না। একডালিয়া এভারগ্রিনকে সুব্রতদা প্রাণ দিয়ে ভালোবাসতেন। আমি এখানে এলে আমাকে মন্ত্র পড়তে বলতেন। বউদি সেটাকে ধরে রেখেছেন। এই পাড়ার যাঁরা রয়েছেন, তাঁরা দয়ার করে বউদিকে দেখে রাখবেন।’
সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের হাত ধরে রাজনীতিতে উত্থান মমতার। জাতীয় কংগ্রেস করার সময় সুব্রতর নেতৃত্বে রাজনীতি করতেন মমতা। সুব্রত ও প্রিয়রঞ্জন দাসমুন্সির সম্মতিতে ১৯৮৪-তে যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রে কংগ্রেসের প্রার্থী হন মমতা। সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের মতো তাবড় সিপিএম নেতাকে হারিয়ে সাংসদ নির্বাচিত হন তৎকালীন যুব কংগ্রেস নেত্রী।
মমতা-সুব্রতর দাদা বোনের সম্পর্ক নানা উত্থান পতনের সাক্ষী থেকেছে। সম্পর্কে এমন অবনতি হয়েছে, যে প্রকাশ্যে মমতার বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন সুব্রত। মমতার তৈরি তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে ফিরে গিয়েছেন। ২০০৯-র পর তৃণমূলের ফিরে আসতে হয়েছে সুব্রতকে। ২০১১ থেকে আমৃত্যু রাজ্যে মন্ত্রিসভারস একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দফতর সাফল্যের সঙ্গে সামাল দিয়েছেন সুব্রত। ২০২১-র ৪ নভেম্বর তাঁর অকাল মৃত্যু মমতাকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। সেই মমতার ‘দাদা’ সুব্রতকে নিয়ে এদিনের স্মৃতিচারণা আলাদা মাত্রা পেল বলে মনে করা হচ্ছে।
দিনের বড় ব্রেকিং হোক বা দেশ, দুনিয়ার গুরুত্বপূর্ণ খবর সব খবর সবার আগে জানুন এই সময় ডিজিটালের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে। জয়েন করতে এখানে ক্লিক করুন।