আকাশে বাতাসে ভাসছে আগমনীর সুর। চারিদিকে পুজো পুজো গন্ধ। আর মাঝেই অভিনব উদ্যোগ তৃণমূল বিধায়কের। পুজোর বাকি আর মাত্র ২ দিন। আর এলাকার কচিকাঁচাদের নিয়ে পুজোর বাজারে গেলেন তৃণমূল বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায়। মঙ্গলবার তৃতীয়ার সকালে রাজারহাট নারায়ণপুর অঞ্চলে কচিকাঁচাদের হাত ধরে বিভিন্ন দোকানে ঘুরে ঘুরে পুজোর বাজার সারেন রাজারহাট নিউটাউনের বিধায়ক।

এদিন কচিকাঁচাদের হাত ধরে বিভিন্ন জামাকাপড়ের দোকানে প্রবেশ করেন তাপস। প্রত্যেককে তাদের পছন্দ মতো জামাকাপড় কিনে দেন তৃণমূল বিধায়ক। তাপসের কন্যা তথা বিধাননগর পুরসভার মেয়র পারিদ আরাত্রিকা চট্টোপাধ্যায়ও উপস্থিত ছিলেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতি বছরই এলাকার কচিকাঁচাদের নিয়ে বাজারে বেরোন বিধায়ক এবং তাদের জামাকাপড় কিনে দেন।

দুর্গাপুজোর আগে বিধায়কের এই পুজোর বাজার ঘিরে এলাকারা বাসিন্দাদের মধ্য ছিল খুশির হাওয়া। বিধায়কের পুজোর বাজারে যাওয়ার জন্য স্থানীয় কচিকাঁচাদের মধ্যেই ছিল তুমুল উৎসাহ। তাঁরা প্রত্যেকেই পছন্দমতো জামা কাপড় কিনেছে বলে জানিয়েছেন খুদেরা।

রাজারহাট-নিউটাউনের তৃণমূল বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায় এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে এখানে কর্মসূচি পালন করি। আগে আমি যখন কাউন্সিলর ছিলাম তখন করতাম। এখন আমার মেয়ে আরাত্রিকা এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। সেই কারণে এই অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। শুধু দুর্গাপুজো নয়, ইদের সময় একই ধরনের কর্মসূচি নেওয়া হয়। মঞ্চ থেকে বস্ত্র দিয়ে কোনও লাভ নেই। এতে জামার মাপের সমস্যা হয়। সেই কারণে সরাসরি তাদের দোকানে নিয়ে আসা হয়েছে। নিজেদের মতো বেছে তারা পোশাক কিনছে। আমি মেয়েকে বলেছি, এই অনুষ্ঠান যেন বন্ধ না হয়।’

Santiniketan Durga Puja : অস্ত্রের বদলে মায়ের হাতে পদ্ম! সোনাঝুরিতে আদিবাসীদের পুজোয় থাকছে আরও চমক
তাপস চট্টোপাধ্যায়ের কন্যা ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আরাত্রিকা ভট্টাচার্য বলেন, ‘বাবা এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর থাকাকালীন ইদ ও দুর্গাপুজোর সময় এই অনুষ্ঠান শুরু করেছিলেন। তারপর থেকে একইভাবে পুজো ও ইদের সময় এই অনুষ্ঠান চলে আসছে। মঞ্চ থেকে নয় বাচ্চাদের দোকানে নিয়ে যাওয়া হয়। তারা নিজেদেরে পছন্দমতো তা কিনে নেয়। আমরা প্রত্যেকবছর এই অনুষ্ঠান করতে চাই।’

এই উদ্যোগে খুশি স্থানীয় বাসিন্দারাও। এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘পুজোর সময় সবারই কিছু প্রত্যাশা থাকে। সেখানে খুদেদের নতুন জামাকাপড় কিনে দেওয়ার এই উদ্যোগ খুবই ভালো। এতে বাচ্চারাও ভীষণই খুশি হয়।’

এই সময় ডিজিটাল জয়েন করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন...



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version