চেতলা অগ্রণী ক্লাব
চেতলা অগ্রণী ক্লাবের এবারের থিমের নাম হল ‘যে যেখানে দাঁড়িয়ে’। প্রথমেই মণ্ডপে ঢুকে দেখা যাবে এক বিশাল ভাগ্যচক্র। মোরগ লড়াইয়ের মাঝে মাথার উপরে অবস্থিত বিশাল বাজপাখি । দিন আনা দিন খাওয়া দিনমজুর এবং আধুনিক শার্ট টাই পরা শ্রমিকদের সহাবস্থান ঘটানো হয়েছে। এরপর আকাশচুম্বী সিঁড়ির মাথায় এক মুকুটের দিকে এগিয়ে চলবেন দর্শনার্থীরা। চেতলা অগ্রণী ক্লাবের দেবীমূর্তি সাদামাঠা শাড়ি পরিহিতা সাধারণ এক মা, তাঁর মাথার মুকুটে রত্ন হিসেবে সজ্জিত হয়েছেন মেহনতি মানুষের দল।
পিছিয়ে নেই সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার
সোমবার সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজোর উদ্বোধন করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। উদ্বোধনের পর থেকেই রাম মন্দিরের অনুরূপ সংস্করণ দেখতে উত্তর কলকাতার এই পুজো মণ্ডপেও ভিড় জমাতে শুরু করেন দর্শনার্থীরা। দ্বিতীয়ার পর থেকেই সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার দেখিয়ে দিতে শুরু করে হামভি কিসি সে কম নেহি। জোর টক্কর শুরু হয় ভিড়ের মাপকাঠিতে।
কে দিল টক্কর?
কলকাতা পুলিশ এবারেই প্রথম প্রতিমা দর্শনের জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তি তুলে ধরেছেন মানুষের সামনে। প্রতিমা দর্শনে কত সময় লাগছে, দেখানো হয় লাইভ। সন্ধ্যা আটটা নাগাদ যেখানে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজো মণ্ডপের প্রতিমা দেখতে সময় লাগছিল ১১ মিনিট, সেখানে চেতলা অগ্রণী অপেক্ষার সময় ছিল ১৩ মিনিট। রাত নটার পর থেকে আবার এগিয়ে যায় সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার। ন’টার পর থেকে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজোর লাইনে দাঁড়ানোর সময় উল্লেখ করা হয় ১৪ মিনিট। ধারে ভারে পঞ্চমীর রাত পর্যন্ত দুজনেই সমান টক্কর দিয়ে থাকে।
প্রতিদ্বন্দ্বিতা রাজনীতিতে?
সকলেই জানেন, চেতলা অগ্রণী ক্লাবের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। অন্যদিকে, সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজোর উদ্যোক্তা বিজেপি নেতা সজল ঘোষ। স্বাভাবিক ভাবে, রাজনৈতিক দিক থেকেও একটা টক্কর রয়েছে সমানে সমানে। যদিও, অনেকেই দাবি করছেন পুজোর মাঝে রাজনৈতিক গণ্ডি টানা উচিত নয়। শিল্পীরা তাঁদের হাতের কাজ দেখিয়ে মণ্ডপ নির্মাণ করেছেন, সেটাই সর্বসাকুল্যে উপভোগ করা উচিত।
সব পুজোর খবর বাড়িতে বসে, সমস্ত খবর-ছবি-ভিডিয়োর জন্য ক্লিক করুন এখানে