জল্পনা ছিলই, অবশেষে সেটাই বাস্তবায়িত হল। বিশ্ববাংলা সারদ সম্মান ২০২৩-এর বিচারে নদিয়া জেলায় সেরার সেরা হল লিমানস ক্লাব ও আইটিআই মোড় ব্যবসায়ী সমিতি। বৃহস্পতিবারই রাজ্য সরকার পরিচালিত বিশ্ববাংলা শারদ সম্মান ২০২৩-এর কলকাতার সেরা পুজোগুলির তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। তারপর শুক্রবার একের পর এক জেলার ফলও প্রকাশ হতে শুরু করেছে।

নদিয়ায় কারা হবে পুরস্কৃত?
রাজ্য সরকারের বিচারে নদিয়া জেলায় সেরার সেরা পুজো হয়েছে কল্যাণীর লুমিনাস ক্লাব ও আইটিআই মোড় ব্যবসায়ী সমিতি, তেহট্টের দিশারী সংঘ এবং রানাঘাট ষষ্ঠীতলা পাড়া পল্লীপুজো সার্বজনীন দুর্গোৎসব ওয়েলফেয়ার সমিতি। সেরা প্রতিমা হয়েছে কৃষ্ণনগর সদরের পাত্রবাজার বারোয়ারী, দেয়ারাপাড়া সার্বজনীন দুর্গাপূজা কমিটি পরিচালিত নবদ্বীপ কর্মমন্দির এবং রানাঘাট বিনাপানী ক্লাব।

রাজ্য সরকারের বিচারে নদিয়া জেলার সেরা মণ্ডপ কল্যাণীর রথতলা সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি, তেহট্টের সাহাপাড়া সার্বজনীন দুর্গেৎসব এবং রানাঘাট ব্রতী সংঘ। পাশাপাশি সেরা সমাজ সচেতনতায় নির্বাচিত হয়েছে রানাঘাট কোর্ট পাড়া ইয়ঙ্গস ক্লাব, কৃষ্ণনগর সদর ধর্মদা যুব সংঘ এবং মুড়াগাছা মর্ডান ক্লাব।

জেলার সেরা পুজোগুলির তালিকা

ITI মোড়ের ঠাকুর ঘিরে ব্যাপক উন্মাদনা
প্রসঙ্গত, গতবারের পর এবারেও জেলা তথা গোটা দক্ষিণবঙ্গজুড়ে হইচই ফেলে দিয়েছে কল্যাণী আইটিআই মোড়ের লুমিনাস ক্লাবের পুজো। চিনের বিলাসবহুল হোটেল Grand Lisboa Macau-এর আদলে এবার তাদের মণ্ডপ তৈরি করেছে লুমিনাস ক্লাব। সমগ্র মণ্ডপই তৈরি হয়েছে ছোট-বড় বিভিন্ন মাপের কাচ গিয়ে। পাশাপাশি একদম আসল হোটেলকে মাথায় রেখেই করা হয়েছে মণ্ডপের আলোকসজ্জাও। এছাড়া প্রতিমাতেও রয়েছে বিশেষত্ব।

রেল চলাচলে বিধিনিষেধ
আইটিআই-এর পুজোকে ঘিরে গতবারের মতো এবারেও প্রবল উৎসাহ মানুষের মধ্যে। স্থানীয়রা তো বটেই, পার্শ্ববর্তী অঞ্চল, এমনকী ভিন জেলা থেকেও দলে দলে ভিড় করছেন দর্শনার্থীরা। ট্রেনে বা সড়ক পথে কল্যাণীর আইটিআই মোড়ের ঠাকুর দেখতে যাচ্ছেন তাঁরা। এদিকে এই পরিস্থিতিতে ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য তৎপর পুলিশ প্রশাসন। সেক্ষেত্রে আজ দুর্গাপুজোর মহাষষ্ঠী থেকে মহনবমী পর্যন্ত কল্যাণী ঘোষপাড়া স্টেশনে ট্রেন দাঁড়ানোর ওপরে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। পুলিশ ও প্রশাসনের পরামর্শ অনুযায়ী বিকেল ৪টে থেকে রাত ১১ পর্যন্ত কল্যাণী ঘোষপাড়া স্টেশনে আপ কল্যাণী লোকাল থামবে না বলে ঘোষণা করেছে রেল। যদিও ডাউন লোকাল অবশ্য দাঁড়াবে। রেলের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে অবশ্য দর্শনার্থীদের একাংশের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version