কলকাতা হাইকোর্টে জামিনের আবেদনের শুনানি হচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলেছিলেন জেলবন্দি তৃণমূল বিধায়ক। পরপর চারদিন তাঁর জামিনের আবেদনের শুনানি স্থগিত হয়েছে, এই অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন মানিক। বিধায়কেপ সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার ১৬ নভেম্বর, পূর্ব নির্ধারিত দিনেই মানিকের দায়ের করা মামলার শুনানির নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
সেপ্টেম্বর মাসে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে মানিকের জামিনের আবেদন মামলার শুনানি ছিল। সশরীরে কোর্টরুমে উপস্থিত থাকার আর্জিও জানিয়েছিলেন মানিক। কিন্তু মানিকের জামিনের আবেদনের শুনানি পিছিয়ে দেয় আদালত। আগেও একাধিকবার মানিকের জামিনের আবেদন শুনানি পিছিয়ে যায়। এবার সুপ্রিম নির্দেশে পূর্ব নির্ধারিত দিনে হাইকোর্টে জামিন মামলার শুনানিতে মানিক স্বস্তি পান কি না, সেদিকে নজর থাকবে।
নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফাতারির মুখে পড়েন মানিক ভট্টচার্য। পরবর্তী পর্যায়ে ধাপে ধাপে গ্রেফতার হন তাঁর স্ত্রী শতরূপা ও পুত্র সৌভিক ভট্টাচার্য। আদালতে মানিকের স্ত্রী শতরূপাকে নিয়োগ দুর্নীতির ‘লেডি ম্যাকবেথ’ বলে উল্লেখ করে ED। কিন্তু পরবর্তীকালে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাস থেকে জামিন পান মানিকে স্ত্রী। শতরূপা জামিন পাওয়ার পরই আদালেতে একের পর এক জামিনের আবেদন জমা পড়েছে। তবে মানিকের স্ত্রী ছাড়া কেউই এখনও এই মামলায় জামিন পাননি।
উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের তদন্তে সম্প্রতি মানিক পৈত্রিক ভিটেতে হানা দেয় ED। পলাশিপাড়ার ঘোড়াইক্ষেত্র এলাকায় তল্লাশি চালান ইডি আধিকারিকরা। মানিকের বাবার নাম থাকা স্কুলেও চলে ED অভিযান। প্রভাব খাটিয়ে ওই স্কুলের নাম পরিবর্তনের অভিযোগ উঠেছে মানিকের বিরুদ্ধে। স্কুলের নির্মাণে ব্যবহৃত লাখ লাখ টাকার উৎস কী? তা জানতেই উদগ্রীব ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা। স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও প্রাথমিক বিভাগের শিক্ষকদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। স্কুলের যাবতীয় নথিও খতিয়ে দেখা হয়। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, স্কুলে নির্মাণের পিছনে মানিকপুত্র সৌভিকের হাত রয়েছে