এই সময়: কেন্দ্রের তৈরি আইন না মানায় এ বার হাইকোর্টে আটকে গেল কেন্দ্রেরই সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক। এ রাজ্যে জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের জন্যে জমি নিয়ে পুরনো আইনে ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ করায় হাইকোর্ট আটকে দিয়েছে ওই জমি দখলের প্রক্রিয়া। কেন্দ্রীয় সরকারের ২০১৩ সালের আইন মেনে ক্ষতিপূরণ না দেওয়ায় জাতীয় সড়ক বিভাগের জন্যে অধিগৃহীত জমির দখলে স্থগিতাদেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।

বিচারপতি বিবেক চৌধুরী জানিয়ে দিয়েছেন, কেন্দ্রের নতুন জমি অধিগ্রহণ আইন মেনে জমিদাতাকে ক্ষতিপূরণ না দেওয়া পর্যন্ত জমির দখল নেওয়া যাবে না। এর ফলে মালদায় জাতীয় সড়কের বাইপাস তৈরির কাজে জটিলতা তৈরি হলো। গত বছর ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের জমি অধিগ্রহণ ও ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত বিরোধে সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক নতুন আইনে ক্ষতিপূরণের নির্দেশ নিয়ে প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিল।

সেই মামলার এখনও নিস্পত্তি হয়নি। তারই মধ্যে ২০১৬ সালে মালদার চাঁচলে ৮১ নম্বর জাতীয় সড়কের একটি বাইপাস তৈরির জন্যে জমি অধিগ্রহণ শুরু করে কেন্দ্র। এ ক্ষেত্রে একটি ইটভাটাও অধিগ্রহণের আওতায় চলে আসে। কিন্তু জাতীয় সড়ক বিভাগ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ক্ষেত্রে ১৯৫৬ সালের পুরনো আইনকে হাতিয়ার করে। তাতে আপত্তি জানিয়ে সালিসি বা আরবিট্রেশনে যান ওই জমির মালিক আদর্শ কুমার।

কিন্তু সেখানে কোনও মীমাংসা হয়নি। তিনি হাইকোর্টে মামলা করেন। তাঁর আইনজীবী শ্রীজীব চক্রবর্তী ও অরিন্দম দাস অভিযোগ করেন, ২০১৬ সালে ওই জমি অধিগ্রহণের জন্যে নোটিস দেওয়া হয়। ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসের পর কোনও জমি অধিগ্রহণের নোটিস পাঠানো হলে ২০১৩ সালের আইন মেনেই ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা।
Abhishek Banerjee News : অভিষেকের মিম শেয়ার করে গ্রেফতার ছাত্র! পুলিশি তদন্তে ‘না’ হাইকোর্টের
এ ক্ষেত্রে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ সেই নির্দেশ মানেননি। এমনকী ওই জমি যে বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত হতো, তারও উল্লেখ করা হয়নি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে। নতুন আইনে জমি অধিগ্রহণ করতে হলে গ্রামীণ এলাকায় বাজারদরের তুলনায় চার গুণ এবং শহরের ক্ষেত্রে দ্বিগুণ দাম দেওয়ার কথা। একই সঙ্গে অধিগৃহীত জমির জন্যে জমিদাতাকে বিকল্প জায়গায় বাসস্থানও গড়ে দেওয়ার কথা।

কিন্তু বাস্তবে এর কোনওটাই জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ মানেননি বলে অভিযোগ। এতদিন রাজ্য জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে কেন্দ্রের নতুন আইন চালু করছে না বলে অভিযোগ উঠছিল। এ বার দেখা গেল একই দোষে দুষ্ট কেন্দ্রের মন্ত্রকও!



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version