কী ঘটনা ঘটেছে?
তিন অশীতিপর এবং অসুস্থ বয়স্ক ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হল বারাসত এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে। পুরকর্মীরা কোনওরকমে তিন বৃদ্ধ-বৃদ্ধাকে অ্যাম্বুলেন্সে চাপিয়ে নিয়ে যায় বারাসত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। সেখানেই অসুস্থ তিনজনকে ভর্তি করে নেওয়া হয়। ষষ্ঠীর দিন বারাসত পুরসভার এমনই মানবিক মুখ দেখল শহরবাসী।
পুরসভার উদ্যোগ
ওই তিন অসহায় বৃদ্ধ বৃদ্ধাকে উদ্ধারের দায়িত্ব নিলেন বারাসত পুরসভার চেয়ারম্যান অশনি মুখোপাধ্যায়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরে না খাওয়া দাওয়ার ফলে তিন বৃদ্ধ-বৃদ্ধা অপুষ্টিজনিত রোগে ভুগছেন। তার জেরে শরীরে নানারকম রোগও বাসা বেঁধেছে তাঁদের। এমত অবস্থায় এই তিন বৃদ্ধ-বৃদ্ধাকে সুস্থ করাই এখন চ্যালেঞ্জ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।
কী ভাবে খোঁজ তিনজনের?
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, মহাষষ্ঠীর দিন দুপুরে হঠাৎই একটি অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন পান বারাসত পুরসভার ১০ নং ওয়ার্ডের পুরপিতা দেবব্রত পাল। তাঁকে ফোন জানানো হয়, ১০ নম্বর ওয়ার্ড ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সংযোগস্থলে একটি আবাসনে তিন বৃদ্ধ ও বৃদ্ধা অসুস্থ অবস্থায় রয়েছেন। অর্ধাহারে দিন কাটছে তাঁদের। দেখাশোনা করার কেউ নেই। কোনওরকমে মুড়ি জল খেয়ে রয়েছেন তাঁরা।
পুরসভার মানবিক উদ্যোগ
এরপরেই কাউন্সিলর পুরসভার উদ্যোগে তড়িঘড়ি তাঁদের হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। ডাকা হয় অ্যাম্বুল্যান্স। আবাসনের বাসিদন রিনা রায়, শশধর রায় ও কাজরী রায়কে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, বিগত তিন মাস ধরে তাঁরা অসহায় অবস্থায় আর্থিক অনাটনের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। তাঁদের দেখাশোনা করার কেউ নেই। স্থানীয়রা কিছু সাহায্য করলেই দীর্ঘকালীন দেখাশোনা করার কেউ নেই। অর্ধাহারে দিন কাটছে তাঁদের।
কী জানালেন পুরপ্রধান?
বারাসত পুরসভার পুরপ্রধান জানান, মানুষের দুর্দিনে তাঁদের অসহায় অবস্থায় তাঁদের পাশে দাঁড়ানোটাই আমাদের কাজ। সেই কাজই এখানে করা হয়েছে। তাঁদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাঁরা সুস্থ হলে তাঁদের দেখাশোনা এবং আহারের ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান তিনি।