মহাসপ্তমীর সন্ধ্যায় নিজের পাড়ার পুজোয় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee)। শ্রীরামপুরে ৫ ও ৬ এর পল্লীতে নিজের পাড়ার পুজো মণ্ডপে সাংসদকে ঢাক বাজাতে দেখা যায়। শ্রীরামপুরের গান্ধী ময়দানে এই পুজোতে প্রত্যেক বছরই উপস্থিত থাকেন তিনি। শুধু কল্যাণ নয়, বাংলার রাজনীতিবিদদের বিভিন্ন পুজোয় অংশ নিতে দেখা যায় প্রত্যেকবারই। রাজনীতির পাশাপাশি কল্যাণ আইনজীবী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।

থিমের পুজোর (Kolkata Durga Puja) তুলনায় সাবেকিয়ানা কল্যাণের কাছে বেশি গ্রহণযোগ্য। প্রত্যেক বছর অষ্টমীর সন্ধি পুজোয় তাঁকে গায়েত্রী মন্ত্র উচ্চারণ করে পুজো করতেও দেখা যায়। একইসঙ্গে ঢাকও বাজান তৃণমূল সাংসদ। শনিবারও তার অন্যথা হল না। সপ্তমীর সন্ধেয় পাড়া পুজোকে শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাব বা সুরুচির সংঘের পুজোর সঙ্গে তুলনা করেন এই আইনজীবী সাংসদ। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একাধিক প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ।

কল্যাণ বলেন, ‘থিম পুজোর তুলনায় সাবেকিয়ানা আমার কাছে বেশি প্রিয়। সাবেকি দেবীমূর্তি আমার বেশি পছন্দের। থিমের পুজোতে বিভিন্ন শিল্পকলা ফুটিয়ে তোলেন শিল্পীরা। তাদেরকে অনেক পরিশ্রম করে শিল্প সত্তার পরিচয় দিতে হয় । তাই কোনওটার সঙ্গে কোনওটাই তুলনা করা চলে না। অনেক মানুষের জীবন জীবিকা জড়িয়ে রয়েছে। দুর্গাপুজো বাংলার অর্থনীতির জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।’

Durga Puja 2023 : হুগলির সেরা পুজো কারবালা মোড়, তালিকায় আরও কারা?
পুজো নিয়ে দলীয় দুই সতীর্থ-মন্ত্রীর পুজোর নামও শোনা গিয়েছে কল্যাণের মুখে। মন্ত্রী সুজিত বসুর শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাব ও আরেক মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের সুরুচি সংঘের কথা উল্লেখ করে কল্যাণ বলেন, ‘মফঃস্বলের পুজো হলেও এখানে প্রচুর লোক হচ্ছে। কলকাতার পুজোয় বড় বড় ফিল্মস্টার ও বিখ্যাত ফুটবলার নিয়ে এসে লোক করতে হচ্ছে। আর আমার এখানে মায়ের টানে লোক আসে। আমার এখানে যা লোক আসে, তা সুজিত আর অরূপের চেয়ে কম কিছু নয়। শুধু শ্রীরামপুর বলে মার খেয়ে গিয়েছি। সবাই শুধু কলকাতা কলকাতা করে। কিন্তু মফঃস্বলে ভালো পুজো হয় না, এমন নয়।’

শ্রীরামপুরের গান্ধী ময়দানে বৃন্দাবনের প্রেম মন্দির তৈরি করা হয়েছে। সকাল থেকেই প্রচুর মানুষ মণ্ডপে ভিড় করছেন। সপ্তমীর দিন আগত দর্শনার্থীদের সঙ্গেও কথা বলতে দেখা যায় তৃণমূল সাংসদকে। উল্লেখ্য, গত বছর অষ্টমী পুজোর দিন মৃন্ময়ী মূর্তির সামনে হাউ হাউ করে কাঁদতে দেখা গিয়েছিল কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version