পুজোর কলকাতার ভিড় সামলাতে নাজেহাল কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ। মণ্ডপে মণ্ডপে ভিড় সামলাতে বিশেষ পুলিশি বন্দোবস্ত করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই দুপুর থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে অটো চলাচল। বাসের সংখ্যাও তুলনামূলকভাবে কম। দক্ষতার সঙ্গে কলকাতা শহরে হওয়া জনসমাগম সামলেও ট্রাফিক আইন নিয়ে কঠোর কলকাতা পুলিশ। পুজোর ভিড় সামলে শহরের বেপরোয়া যান নিয়ন্ত্রণে কঠোর ভূমিকা নিয়েছে কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ। একইভাবে সক্রিয় বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটও।

ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের জন্য ষষ্ঠী রাত থেকে সপ্তমী সকাল অবধি ৫০০ জনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেছে কলকাতা পুলিশ। কারও থেকে জরিমানা আদায় করা হয়েছে, কারও বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে মামলা। একইরকমভাবে ৭০ জনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেছে বিধাননগর কমিশনারেটও। একটি ইংরেজি দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এমনটাই জানা গিয়েছে।

কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে ও শনিবার সকালে বিনা হেলমেটে বাইক চালানোর জন্য ২৫৭ জন ও অতিরিক্ত আরোহী নিয়ে যাওয়ার জন্য ১৬৩ জনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়েছে। ৪৯ জন বাইক আরোহীর বিরুদ্দে মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর জন্য মামলা করা হয়েছে। কলকাতা পুলিশের এক আধিকারিক ওই ইংরেজি দৈনিককে বলেন, ‘১৬৩ জনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়েছে কারণ তাঁদের বাইকে অতিরিক্ত সওয়ারি ছিল।’ বিভিন্ন রাস্তায় পুলিশ পিকেট বসিয়ে চলছে ধরপাকড়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দক্ষিণ কলকাতার বিভিন্ন অংশ, ইএম বাইপাস ও উত্তর কলকাতা সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউতে ছিল ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের দাপট।

Durga Puja Traffic : অষ্টমীর সকাল থেকেই যানজট? শহরের ট্রাফিক নিয়ে পুলিশের আপডেট
কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, ষষ্ঠীর রাতে বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোর জন্য ৬০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। লালবাজার সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, পুজোর প্রথম রাতে কোনও বড় ধরনের আইন-শৃঙ্খলাজনিত সমস্যা বা অপরাধের ঘটনা ঘটেনি।

অন্যদিকে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে কড়া বিধাননগর পুলিশও। ষষ্ঠী ও সপ্তমীর দিন সল্টলেক, নিউটাউন, রাজারহাট, বাগুইআটি, লেকটাউন ও কৈখালি মিলিয়ে ৭০ জনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়েছে। তাঁরা অধিকাংশই মদ্যপ অবস্থায় মোটরবাইক চালাচ্ছিলেন।

বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক এ প্রসঙ্গে ইংরেজি দৈনিককে বলেন, ‘আমরা কড়া হাতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের চেষ্টা করছি। যাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়েছে, তাঁদের কেউ মদ্যপ অবস্থায় বাইক চালাচ্ছিলেন, আবার কারও মাথায় হেলমেট ছিল না। পুজোয় আমাদের এই নজরদারি চলবে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version