উমা বিদায়ের বিষাদের সুর বাংলায়। অধিকাংশ বাঙালির মন খারাপ। ফের বছরভরের অপেক্ষা, মায়ের ঘরে ফেরার। কিন্তু এই রাজ্যের এক প্রান্তে অন্য ছবি। আসন্ন উৎসবের কথা মাথায় রেখে প্রস্তুত হচ্ছে হুগলির চন্দননগর। উমা বিদায়ের বিষাদের সুর যখন বাংলায়, তখনই চন্দননগরবাসী আনন্দে মেতে উঠেছন জগদ্ধাত্রী পুজোয় প্রস্তুতিতে।

চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো বিশ্ব বিখ্যাত। সেই পুজোর আগমনী বার্তা শুরু হয়ে গেল উমা বিদায়ের দিনেই। দশমীর দিন মা দুর্গার বিদায়ে সকলেরই মন ভারাক্রান্ত হয়ে থাকে, ঠিক তখনই আবার আনন্দে মেতে ওঠেন চন্দননগরের মানুষ। জগদ্ধাত্রী পুজোর কাউন্টডাউন শুরু হয় আজ থেকেই। শুধু চন্দননগরবাসী নয়, এই পুজোয় মেতে উঠবে সমগ্র হুগলি জেলা থেকে গোটা বাংলার মানুষ। রীতি অনুযায়ী দশমীর দিনই চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজোর কাঠামো পুজোর আয়োজন করা হয়। চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর বেশিরভাগ পুজোর কাঠামো পুজো হয় দুর্গা পুজোর দশমীর দিন।

ঐতিহাসিক এই শহরে জগদ্ধাত্রী পুজো নিতান্তই পুজো বা উৎসব নয়। এই পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে শহরের প্রত্যেক মানুষের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে আবেগ ও ভালোবাসা। দশমীর দিন ভদ্রেশ্বর গৌরহাটি তেঁতুলতলার ২৩১তম বর্ষের পুজোয় নিয়ম নিষ্ঠার সঙ্গে হল কাঠামো পুজো। কাঠামো পুজোর পর থেকেই চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী মায়ের মূর্তি গড়ার কাজ শুরু হয়। কাঠামো পুজোর দিন এদিন তেঁতুলতলায় প্রচুর ভক্ত অঞ্জলি দেওয়ার জন্য উপস্থিত ছিলেন।

TMC Leader Durga Puja: ৩২৯ বছরের পুরনো পুজো, সোনায় গড়া ছোট্ট দুর্গা মূর্তিতে আরাধনা সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের বাড়িতে
তেঁতুলতলা বারোয়ারী পুজো কমিটির তরফে শ্রীকান্ত মণ্ডল বলেন, ‘প্রত্যেক বছরই রীতি অনুযায়ী দুর্গাপুজোর দশমীর দিন জগদ্ধাত্রী পুজোর কাঠামো পুজো হয়।আজ থেকে শুরু হবে মায়ের মূর্তি গড়ার কাজ। সাধারণ মানুষ থেকে সকলেই জানেন নবমীর দিন এক দিনে পুজো হয়। সেদিনই ভোগ বিতরণ করা হবে।’

অন্যদিকে উত্তরাঞ্চল বিবিরহাট জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির পুজো এবার ৫৭ বছরে পদার্পণ করল। এখানে এক দিকে যখন উমাকে বরণ করা হয় ,অন্যদিকে হৈমন্তিক কে আহবানের জন্য হয় কাঠামো পুজো। উদ্যোক্তার জানিয়েছেন, এবার তাদের পুজো মণ্ডপে থাকবে বিশেষ চমক। মণ্ডপের মাধ্যমে সচেতনতার বার্তা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কমিটির সভাপতি সূর্যকান্ত দাস।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version