পুজোয় কার্নিভ্যালে মতোয়ারা গোটা বঙ্গ। তার মধ্যেও জোর ঝটকা গেরুয়া শিবিরে। এদিনই, বিকেলে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন কোতুলপুরের বিধায়ক হরকালী প্রতিহার। যদিও, এতে আদতে বাঁকুড়া জেলায় বিজেপির লাভ হবে বলেই মনে করছেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ।

কী বললেন সৌমিত্র?

বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁয়ের দাবি ‘আপদ বিদায় হয়েছে’। উনি দলত্যাগ করেছেন বলেই বিষ্ণুপুর লোকসভায় দু’ লাখ ভোটে জিতবো। এই ঘটনার পর কোতুলপুর এলাকায় তৃণমূল বলে কিছু থাকবে না। যার লাভ বিজেপিই ঘরে তুলবে বলে তিনি দাবি করেন।

শিবির বদল বিজেপি বিধায়কের

লোকসভা ভোটের আগে বিজেপির আরও একটি উইকেট পতন বাঁকুড়ায়। এবার ওই দলের কোতুলপুরের বিধায়ক হরকালী প্রতিহার তৃণমূলে যোগ দিলেন। বৃহস্পতিবার কলকাতায় তাঁর হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক, সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

বাঁকুড়া জোর বাড়াচ্ছে তৃণমূল?

প্রসঙ্গত, গত বিধানসভা নির্বাচনে বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের ৬ টি বিধানসভা আসনের ৫ টিতেই জেতে বিজেপি। এর আগেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বিষ্ণুপুরের বিধায়ক। এবার তাঁর দেখানো পথেই হাঁটলেন হরকালী প্রতিহার। ওই নির্বাচনেই কোতুলপুরে তৃণমূলের সঙ্গীতা মালিককে হারিয়ে বিধানসভা ভবনে যাওয়ার ছাড়পত্র আদায় করে নেন বিজেপির হরকালী প্রতিহার। তারপর থেকেই তিনি শাসক দলে যোগ দিচ্ছেন এমন কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল। যদিও সংবাদমাধ্যমের সামনে একাধিকবার তিনি সেকথা অস্বীকার করেন। অবশেষে যদিও শিবির ত্যাগ করলেন এই শিক্ষক-বিধায়ক।

Jyotipriya Mallick News: ‘ওঁর হয়তো পার্থবাবুর মত বান্ধবী জোটেনি…’, জ্যোতিপ্রিয়র বাড়িতে ইডি হানা নিয়ে কটাক্ষ সুকান্তর
দীর্ঘ টালবাহানার পর অবশেষে বৃহস্পতিবার তৃণমূল সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূলে যোগদান করেন তিনি। এরপরেই তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়, বাংলার সাধারণ জনগণের প্রতি মা, মাটি, মানুষের সরকারের কাজ দেখেই দল পরিবর্তন করেছেন তিনি। রাজ্যের উন্নয়নের স্বার্থে তাঁর এই যোগদান আগামী দিনে প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছে তৃণমূল।

বিজেপি কী বলছে?

যদিও, দলবদলের ঘটনাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপি। এদিন হরকালী প্রতিহার তৃণমূলে যোগদানের পর বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য জানান, ঝাঁকের কই ঝাঁকে গিয়ে মিশেছে। এমনকি, আগামী লোকসভা কোতলপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপি অনেক ব্যবধানে জিতবে বলে তিনি মনে করছেন। তাঁর দলত্যাগ আদৌ রাজ্য রাজনীতিতে কোনও প্রভাব ফেলবে না এবং এতে বিজেপির কোনও ক্ষতি নেই বলেই তিনি মনে করছেন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version