OTT প্ল্যাটফর্মে বেশ কয়েকমাস আগে মুক্তি পেয়েছিল শাহিদ কপুর অভিনীত ‘ফর্জি’। জালনোটের কারবারকে কী ভাবে পাচারকারীরা শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে, তা দেখানো হয়েছিল ওই ওয়েব সিরিজে। মালদার ‘জালনোট শিল্প’-র কথাও দেখানো হয় ওই ওয়েব সিরিজে। এবার রুপোলি পর্দার সঙ্গে সরাসরি বাস্তবের মিল। মালদা থেকে ফের জালনোট উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য। দীর্ঘদিন পর ফের ‘ছোট’ জালনোট উদ্ধারের ঘটনা শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা জেলায়। বৈষ্ণবনগর থানার অন্তর্গত কুম্ভিরা ফাঁড়ির পুলিশ অভিযান চালিয়ে সম্প্রতি উদ্ধার করেছে এই জালনোট। গোপন সূত্রে পুলিশের কাছে খবর আসে। তারপরই চলে অভিযান। সব মিলিয়ে মোট ১ লাখ ৪০ হাজার টাকার জালনোট উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, উদ্ধার হওয়া ভুয়ো নোটগুলির সবকটিই ২০০ টাকার।

গ্রেফতার ‘কিংপিন’ মনোজ!

এই ঘটনায় মনোজ মণ্ডল নামে এক কুখ্যাত জালনোট পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, একাধিক জালনোট পাচারের ঘটনায় জড়িত ছিল মনোজ। দীর্ঘদিন ধরে তার হদিশ পাওয়ার চেষ্টা করছিল পুলিশ। জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালে মালদা থেকে ৫০ ও ২০০ টাকার জালনোট উদ্ধার হয়েছিল। তারপর যতবারই জালনোট উদ্ধার করা হয়েছে, তার সবকটিই ছিল ৫০০ ও ২০০০ হাজার টাকার। ফের নতুন করে ‘ছোট’ জালনোট উদ্ধার হওয়ায় কপালে ভাঁজ পড়েছে জেলা পুলিশের কর্তাদের।

কী বলছে পুলিশ?

মালদার পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘এই জেলায় জালনোট পাচার ও পাচারকারীদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই আমাদের অভিযান চলছে। একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃত পুলিশের কাছে জেরায় স্বীকার করেছে যে সে দীর্ঘদিন ধরে ভুয়ো নোট পাচারের সঙ্গে যুক্ত। ধৃতকে জেরা করে পাওয়া তথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

‘ছোট’ নোট, বড় বিপদ

৫০০ বা ২০০০ টাকার বড় নোট দিয়ে লেনদেনের সময় গ্রাহকরা অনেক বেশি করে সতর্ক থাকেন। কিন্তু ৫০, ১০০ বা ২০০ টাকার ছোট নোটের ক্ষেত্রে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে সতর্ক থাকার প্রবণতা কম। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই জালনোট পাচারকারীরা ভারতের বাজারে এখন ছোট নোট ছড়িয়ে দিতে শুরু করেছে বলে মনে করছে পুলিশ। এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে পুলিশের তরফে। সূত্রের খবর, মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অব কমার্সের তরফে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়েছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version