জ্যোতিপ্রিয়র বাড়িতে ম্যারাথন তল্লাশি
রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় ED-র হাতে গ্রেফতার হন ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমান। তাঁকে জেরা করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জ্যোতিপ্রিয়র সল্টলেকের বাড়িতে সকালে পৌঁছন ইডি আধিকারিকরা। মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। মন্ত্রীর বাড়িতে থাকা বিভিন্ন নথি পরীক্ষা করে দেখেছেন ED আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, মন্ত্রীর মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সল্টলেকের দুই বাড়ির পাশাপাশি জ্যোতিপ্রিয়র আমহার্স্ট স্ট্রিটের পৈতৃক বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়। এখন ইডি আধিকারিকরা কখন বেরিয়ে আসেন বা কী পদক্ষেপ নেন সেটাই দেখার।
পুলিশের সাহায্য চাইল ED
ইডি আধিকারিকদের পক্ষ থেকে বিধাননগর উত্তর থানার আইসি প্রতীক বসুকে ডেকে পাঠানো হয় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বাড়িতে। দুপুরের পর একে একে বিধাননগরের কাউন্সিলরসহ দলের একাধিক নেতা কর্মীরা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বাড়িতে বিজয়ার শুভেচ্ছা বিনিময় করতে আসেন। নেতানেত্রীদের আগমনের ফলে কাজ করতে অসুবিধা হচ্ছে বলে বিধাননগরের আইসিকে ডেকে পাঠানো হয় মন্ত্রীর বাড়িতে। পুলিশ আধিকারিক মন্ত্রীর বাড়িতে এসে পৌঁছনোর পর তাঁকে গোটা বিষয়টি জানানো হয়। এরপর মন্ত্রীর বাড়ির সামনে মোতায়েন করা হয় পুলিশ। অকারণে কাউকে এই রাস্তা দিয়ে হাঁটতে দেওয়া হচ্ছে না। এই গলির মধ্যে যাঁদের বাড়ি রয়েছে শুধুমাত্র তাঁদেরকেই আসতে দেওয়া হচ্ছে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী জ্যোতিপ্রিয়র বাড়ির বাইরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে।
রেশন বণ্টন দুর্নীতিতে প্রভাবশালী যোগ
করোনার সময় রেশন দেওয়ার নামে বিস্তর গরমিলের অভিযোগ ওঠে। অভিযোগের ভিত্তিতে ECIR দায়ের করে তদন্তে নামে ED। তদন্তে নেমে ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমানের কৈখালির বাড়িতে অভিযান চালান ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা। দীর্ঘ ৫২ ঘণ্টার তল্লাশি অভিযান চলে বাকিবুরের বাড়িতে। এরপর তাঁকে আটক করে সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। ১৪ অক্টোবর বাকিবুরকে গ্রেফতার করে ইডি। ধৃত ব্যবসায়ীকে জেরা করে বেশ কিছু প্রভাবশালীর নাম সামনে এসেছে বলে দাবি তদন্তকারীদের।
