গ্রেফতার জ্যোতিপ্রিয়
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় এজেন্সির তদন্ত নিয়ে সরব হয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি উল্লেখ করেছিলেন, রাজনৈতিক ভাবে বিজেপি লড়তে পারছে না, সেই কারণেই এগুলো করানো হচ্ছে। যে সমস্ত রাজ্যে বিরোধীরা ক্ষমতায় রয়েছে, সেখানেই কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে নেতা মন্ত্রীদের হেনস্থা করা হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি। তবে গ্রেফতারির পর একই ভাষায় জ্যোতিপ্রিয় বলেন, ‘গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার হলাম আমি। এইটুকু বলে গেলাম। ভারতীয় জনতা পার্টি খুব ভালো কাজ করেছে। তারা আমাকে শিকার করল।’
কেন্দ্রীয় এজেন্সি নিয়ে সরব মমতা
কেন্দ্রীয় এজেন্সির তদন্তের প্রক্রিয়া নিয়েও সরব হন মমতা। তিনি জানান, তদন্তের নামে নেতা মন্ত্রীদের ‘শারীরিক ভাবে হেনস্থা’ করা হচ্ছে। এমনকি, নির্দিষ্ট কিছু নাম বলার জন্যে তাঁদের তরফে চাপ দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার দিনভর জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বাড়ি সহ একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালায় ইডি। রাত দেড়টা নাগাদ তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ বনমন্ত্রীকে সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়।
বাকিবুর গ্রেফতারিতে নির্দিষ্ট তথ্য?
রেশন বন্টন দুর্নীতি মামলায় এই প্রথম কোনও মন্ত্রীকে গ্রেফতার করা হল। এর আগে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করা হয়েছিল। রেশন বন্টন দুর্নীতি মামলায় কিছু দিন আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল ব্যবসায়ী ও মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত বাকিবুর রহমানকে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে একাধিক তথ্য ইডি আধিকারিকদের হাতে উঠে এসেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ছয়টা নাগাদ জ্যোতিপ্রিয়র সল্টলেকের বিসি ২৪৪ এবং বিসি ২৪৫ দুটি বাড়িতে তল্লাশি শুরু করে ইডি আধিকারিকরা। এরপর বেনিয়াটোলায় জ্যোতিপ্রিয়ের পৈতৃক বাড়িতেও হানা দেয় তাঁদের একটি টিম। এর পাশাপাশি তাঁর আপ্তসহায়ক অমিত দে-র নাগেরবাজারের দু’টি ফ্ল্যাটেও পৌঁছে যায় ইডি। গোটা দিন তল্লাশি চালানো হয়। প্রায় ২০ ঘণ্টা ম্যারাথন তল্লাশির পর অবশেষে গ্রেফতার করা হয় জ্যোতিপ্রিয়কে। যদিও, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের গ্রেফতারির পর তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে নির্দিষ্ট ভাবে কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি।