কী জানা যাচ্ছে?
ইতিমধ্যে, ইউনেস্কো স্বীকৃতি পেয়েছে কলকাতার দুর্গাপুজো। তবে ভারতীয় মুদ্রায় দুর্গা মায়ের প্রতিকৃতি তৈরি করার প্রয়াস নেওয়া হল প্রথম ভারতীয় টাঁকশালের তরফে। ২০২২ সালে বাবুবাগান ক্লাবের মা দুর্গার মূর্তির প্রতিকৃতি স্থান পেল ভারতীয় মুদ্রায়। ভারতীয় টাঁকশালের এই উদ্যোগে আপ্লুত বাবুবাগান ক্লাবের উদ্যোক্তারা।
কী রকম মুদ্রা তৈরি হয়েছে?
টমবাক ব্রোঞ্জ দিয়ে এই মুদ্রা তৈরি হয়েছে। মুদ্রাটির ওজন ১০০ গ্রাম এবং এটি ৬০ মিমি ব্যাসের গোলাকৃতি মুদ্রা। অনেকটা ১০ টাকা মূল্যের মুদ্রার ন্যায় এটি তৈরি করা হয়েছে। মুদ্রার গায়ে রয়েছে ইউনেস্কো হেরিটেজ ট্যাগ। যদিও এই মুদ্রায় কোনও অর্থমূল্য দেওয়া হয়নি। স্বাভাবিক ভাবেই, মুদ্রাটি সাধারণ বাজারে ব্যবহৃত হবে না।
কী ভাবে এমন উদ্যোগ?
জানা গিয়েছে, ২০২২ সালের দুর্গাপুজোয় বাবুবাগান ক্লাবের থিম দেখতে যান টাঁকশালের একজন উচ্চ পদস্থ আধিকারিক। গত বছর বাবুবাগান সর্বজনীন পুজোর তরফে বিভিন্ন আকৃতির মুদ্রার প্রতিকৃতি দিয়ে এই মণ্ডপ সাজানো হয়েছিল। জনসাধারণের কাছে প্রশংসা কুড়িয়ে ছিল এই থিম। মণ্ডপ দর্শনের সময়ই ভারতীয় মুদ্রায় দেবী দুর্গার এই অলংকরণ করার পরিকল্পনা তৈরি হয়।
পুজো কমিটি কী জানাচ্ছে?
একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে পুজোর অন্যতম উদ্যোক্তা এবং পুজো কমিটির যুগ্ম সম্পাদক সুজাতা গুপ্ত জানিয়েছেন, তিনি গত সাত বছর ধরে প্যান্ডেলের থিম এবং সাজসজ্জার দায়িত্বে রয়েছেন। তবে ভারতীয় টাঁকশাল এবং কেন্দ্রীয় সরকারের এই স্বীকৃতিতে তিনি আপ্লুত। উল্লেখ্য, ২০২২ সালের দুর্গা মূর্তিটি আলিপুর মিউজিয়াম সংরক্ষণ করার জন্য উদ্যোগ নিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুদ্রা কী ভাবে মিলবে?
দুর্গা মায়ের প্রতিকৃতি দিয়ে তৈরি মুদ্রা টাঁকশাল থেকে ১০৯৯ টাঁকায় কিনতে পারবেন অনেকেই। এছাড়াও অনলাইনে অর্ডার করাও যাবে। এ বছর পুজো মণ্ডপের বাইরে চতুর্থীর দিন একটি ক্যাম্প করে বিক্রি করা হয়। মাত্র তিন ঘণ্টায় প্রায় ৬০ টি মুদ্রা বিক্রি করা হয় বলে জানা গিয়েছে। তবে কলকাতার একটি দুর্গাপুজোর মূর্তি ভারতীয় মুদ্রায় জায়গা করে নেওয়ায় কলকাতার পুজোর মাহাত্ম্য অনেকটাই বাড়িয়ে দিল বলেই মনে করা হচ্ছে।