ঠিক কী ঘটনা?
বাকিবুর সাম্রাজ্য গোটা উত্তর ২৪ পরগনা জেলা জুড়ে। বিঘার পর বিঘা জমির হদিশ মিলেছে। সব জমির সঙ্গে বাকিবুরের যোগ রয়েছে বলে দাবি এলাকাবাসীর। আমডাঙ্গা ,বাদুড়িয়ার পর ফের আমডাঙ্গা ব্লকে নতুন করে জমির হদিশ বাকিবুরের! স্থানীয়দের দাবি অন্তত এমনটা।
আমডাঙার আধাটা পঞ্চায়েতের দাদপুর এলাকায় গৌড়বঙ্গ রোডের ধারে আবারও নতুন করে পাঁচিল দেওয়া ২৬০ কাঠা জমির হদিশ মিলেছে। এই জমি বাকিবুর রহমানের বলে দাবি স্থানীয়দের। এলাকাবাসীর অভিযোগ, ফুড কর্পোরেশনের গোডাউনের নাম করে কম দামে এই বিপুল পরিমাণ জমি কিনেছিলেন বাকিবুরই। আমডাঙতে এক জায়গায় পাঁচ বিঘা ও এক জায়গায় আট বিঘা পাঁচিল দেওয়া দুটি জমির হদিশ পাওয়া গিয়েছে। তবে জমিগুলিতে কাউকে প্রবেশ করতে দিচ্ছেন না নিরাপত্তারক্ষীরা।
কী বলছেন স্থানীয়রা?
স্থানীয় বাসিন্দা শাহজাহান আলি বলেন, ‘এই জমির পাশে আমাদেরও জমি রয়েছে। এখান যাঁরা আসতেন তাঁদের থেকে শুনেছি এখানে না কি রাইস মিল হবে, আটা প্যাকেট করার কাজ হবে। এমনকী স্থানীয়দের কর্মসংস্থান হবে সেকথাও বলা হয়েছিল। তারপর দেখলাম মাটি দিয়ে জমি ভরাট করা হল। পরে শুনলাম এখানে রাইস মিল হবে না। অন্য জায়গায় চলে গিয়েছে। তখনই আমরা অবাক হই। কারও কত টাকা থাকলে জমি কিনে ফেলে রাখতে পারে! এখন যা শুনছি, তাতে অবাক হয়ে যাচ্ছি। সব চাষের জমি ছিল। দালাল মারফতই এই জমি কেনা হয় বলে শুনেছি। এখন শুনছি জমির মালিক গ্রেফতার হয়েছে। দুর্নীতির টাকা না থাকলে কী ভাবে এত জমি কিনে ফেলে রাখা যায়! এতে অবশ্যই রাজনৈতিক মদত রয়েছে।’
বাকিবুরের গ্রেফতারি ঘিরে চাঞ্চল্য
রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা বাকিবুর রহমানকে। তার কইখালির বাড়িতে দীর্ঘক্ষণ ধরে তল্লাশি করে ED। পরে তাঁকে আটক করে ED দফতরে নিয়ে আসা হয়। সেখানেই ওই চালকল ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়। বাকিবুরকে গ্রেফতার করার পর তাঁর থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে গ্রেফতার করে ED। এই তদন্ত কোন দিকে যায় সেটাই এখন দেখার।