Singur Land Case: সিঙ্গুরে টাটা গোষ্ঠীর ন্যানো কারখানা না হওয়ায় বড় অঙ্কের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নিদান ট্রাইব্যুনালের। প্রায় হাজার কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের শিল্পোন্নয়ন নিগমকে। সিঙ্গুর মামলায় এই নির্দেশ নিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ শুভেন্দু অধিকারীর।

বিরোধী দলনেতা বলেন, টাটা গোষ্ঠীকে টাকা সাধারণ মানুষের ট্যাক্সের টাকায় নয়, ‘তৃণমূল দলের ফান্ডল থেকে দিতে হবে না হলে বিধানসভার ভিতরে ও বাইরে বিরোধ হবে । তৃণমূলের পার্টি ফান্ডে নির্বাচনী বন্ডে ৮০০ কোটি টাকা রয়েছে, সেই টাকা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিতে হবে। ওরা ডিএর মতো উচ্চ আদালতে যাবে কিন্তু কিছু লাভ হবে না।’

একইসঙ্গে বিরোধী দলনেতা মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘এই আজকে উনি নবান্ন যাচ্ছেন। পুজোয় মদ বিক্রি করে যে ৬০০ কোটি টাকা পেয়েছেন তা এইভাবেই বেরিয়ে যাবে।’ জ্যোতিপ্রিয় ইস্যুতেও আক্রমণ শুভেন্দুর, ‘তৃণমূল ফাঁকা হয়ে যাবে। ৭০ জন চেয়ারম্যান ও ১৪ জন বিধায়ক সব যাবে পুরো দুর্নীতিতে। বাংলায় বর্তমান সরকারের মন্ত্রী থেকে জনপ্রতিনিধিরা যেভাবে চুরির সঙ্গে যুক্ত তা ইডি ও সিবিআই প্রকাশ্যে আনছেন। শিক্ষা থেকে খাদ্য প্রাক্তন মন্ত্রী ও তৃণমূল নেতৃত্বদের যেভাবে ইডি ও সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হচ্ছে তাতে বর্তমান সরকারের সমালোচনা বেড়ে চলেছে। সামনে ২৪ লোকসভা নির্বাচন। তাতে কতটা প্রভাব পড়বে তা সময় বলবে।’

শুভেন্দুই নন, সিঙ্গুর ইস্যুতে আক্রমণ করেন হুগলিরBJP সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়েরও। তিনি বলেন, ‘শিল্পকে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিশাপ বাংলার মানুষকে পেতে হচ্ছে। এই রায়ে প্রায় ১৭০০ কোটি টাকা রাজ্যকে দিতে হবে। এদিকে না হয়েছে শিল্প না কৃষকরা জমি ফেরত পেল। সরকার এই টাকা কিভাবে দেবে? দিতে হলে তারা জনগণের কাছ থেকে টাকা নিয়ে দিতে হবে। রাজ্যের ক্ষমতায় থাকা প্রত্যেকটা দল যেমন সিপিএম নিজের মতো রাজনীতি করে গিয়েছে। এরপর তৃণমূল নিজের মতো রাজনীতি করছে। কিন্তু, আখেরে কোন লাভ হয়নি রাজ্যের।’

এখানেই শেষ নয়, লকেট বলেন. ‘জমি ফেরত দেওয়ার নাম করে এরা শিল্পটাকে বন্ধ করেছে। বেকারের চাকরি হত, তা বন্ধ হয়েছে। সেই সময় বেকার যুবকরা ট্রেনিং নিয়ে, সার্টিফিকেট নিয়ে গুজরাট উত্তরপ্রদেশ চলে গিয়েছে। এত বছর পরেও এতকিছু হওয়ার পর টাটা-দের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। বর্তমানে রাজ্যের কোন শিল্প নেই । বেকারদের চাকরি নেই। আমরা চাই শিল্প হোক পশ্চিমবাংলায়। শিল্পকে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিশাপ বাংলার মানুষকে পেতে হচ্ছে। আমরা আবারও চাই সিঙ্গুরের টাটা গোষ্ঠী আসুক ।আবার কারখানা তৈরি হোক। সিঙ্গুরের চাষিরা জমি ফেরত চায় না। কারণ জমির অবস্থা ঠিক নেই। আমরা জানি তৃণমূল সরকার আবার এর জন্য কোর্টে যাবে। যে ভুল তারা করেছে সেই ভুলের মাশুল তাদের দিতে হবেই। ভারতীয় জনতা পার্টি সবসময়ই শিল্পের পক্ষে রয়েছে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version