ভোটার তালিকা সংশোধন নিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের কর্তারা। সেই বৈঠকে তৃণমূল, বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস, আপ-সহ সব রাজনৈতিক দলই নির্ভুল এবং স্বচ্ছ ভোটার তালিকা তৈরির দাবি জানিয়েছে কমিশনের কাছে। বুধবার থেকে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজ্যে ভোটার তালিকায় বিশেষ সংক্ষিপ্ত সংশোধন কর্মসূচি চলবে।
মঙ্গলবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাবের পৌরহিত্যে সর্বদল বৈঠক বসে। কমিশনের তরফে আশ্বস্ত করা হয়েছে, ভুয়ো ভোটার ঠেকাতে বিশেষ নজর দেওয়া হবে। মোবাইলে ফোনে ভোটার হেল্পলাইন অ্যাপ ডাউনলোড করে নাম নথিভুক্ত করা যাবে। কমিশনের ওয়েবসাইটে গিয়েও নাম তোলা যাবে।
এ দিনের বৈঠকে তৃণমূলের তরফে হাজির ছিলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং দলের বর্ষীয়ান নেতা সুব্রত বক্সি। বিজেপি এবং কংগ্রেসের তরফে দু’জন করে প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। বামেদের হয়ে বৈঠকে প্রতিনিধিত্ব করেন সিপিএম নেতা রবীন দেব। পরে অরূপ বলেন, ‘আমরা চাই, স্বচ্ছ ভোটার তালিকা তৈরি হোক। যাতে প্রকৃত ভোটাররা তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন। অনেক সময়ে দেখা যায়, বৈধ ভোটারের নাম তালিকা থেকে কেটে দেওয়া হয়। এই ধরনের ভুল যাতে না হয় সেটাও কমিশনকে নজরে রাখতে বলা হয়েছে।’
বিজেপি নেতা শিশির বাজোরিয়ার অভিযোগ, ২০০৪ সালের ডিলিমিটেশন অনুযায়ী একটা ওয়ার্ড অন্য ওয়ার্ডে ঢুকে গিয়েছে। তাঁর দাবি, এটা ইচ্ছাকৃত ভাবে করা হয়েছে। এটা যাতে না হয় সে ব্যাপারে কমিশনকে সতর্ক করেছেন তিনি। যে সব আবাসনে ১৫০০-র বেশি ভোটার রয়েছে সেখানকার জন্য আলাদা ভোটকেন্দ্র তৈরিরও দাবি জানিয়েছে বিজেপি।
সিপিএম নেতা রবীন দেবের বক্তব্য, ভোটার তালিকা তৈরির ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন বিএলও-রা। তাঁদেরকে অনেক সময়ে খুঁজে পাওয়া যায় না। ভোটার তালিকা সংশোধনের সময়ে তাঁরা যাতে প্রতিটি বুথে হাজির থাকেন, সেটা সুনিশ্চিত করতে হবে কমিশনকে। তাঁর অভিযোগ, ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজে অনেক ভূতুড়ে অফিসারকে দেখা যাচ্ছে। এঁদের চিহ্নিত করে বাদ দিতে হবে।
যাঁদের এই কাজে নিয়োগ করা হচ্ছে, তাঁদের একটি তালিকা রাজনৈতিক দলের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য বামেদের তরফে দাবি জানানো হয়েছে। কংগ্রেস নেতা আশুতোষ চট্টোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, মৃত ভোটারদের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার কাজ ঠিকমতো হচ্ছে না। অনেক সময়ে আবার বিএলও’দের দেখা যায় না। আম আদমি পার্টির পক্ষে সুশান্ত ভট্টাচার্যও একই দাবি জানিয়েছেন।